শিগগিরই বড় রদবদল আসছে প্রশাসনে
নিউজ ডেস্ক : প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের সচিবের পদে বড় রদবদল হতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই এই রদবদল হতে পারে। তবে শুধু রদবদলই নয়-অনেক কর্মকর্তা নতুন করে সচিবের দায়িত্বেও আসতে পারেন। ইতোমধ্যে জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিবের পদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ড. মোজাম্মেল হক খানকে বদলি করা হয়েছে। বিভক্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ শিক্ষা বিভাগে সোহরাব হোসাইনকে নিয়োগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হাবীবুল আওয়াল মেয়াদের আগেই চুক্তি বাতিলের আবেদন করেছেন। তার চুক্তির মেয়াদ রয়েছে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর বাইরে আরও দশজন সচিবের স্বাভাবিক অবসরে যাওয়ার কথা এ মাসের মধ্যে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ারুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বরে অবসরে যাবেন। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য খোরশেদ আলম চৌধুরীকে অবসর উত্তর ছুটি দেওয়া হয়েছে । আগামী ডিসেম্বর তিনি ১২ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। তথ্য সচিব মোর্তজা আহমেদ ২২ ডিসেম্বর, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব তরিকুল ইসলাম ২৬ ডিসেম্বর, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এম বদরুদ্দোজা ৩০ ডিসেম্বর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী ৩০ ডিসেম্বর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল হান্নান ৩১ ডিসেম্বর, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এম কাদের সরকার ৩১ ডিসেম্বর স্বাভাবিক অবসরে যাবেন। বহির্সম্পদ বিভাগের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, অর্থ বিভাগের সচিবও অবসরে যাবেন কাছাকাছি সময়েই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সকল সম্ভাব্য শূন্য পদ মাথায় রেখে রদবদলের বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নতুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান আজ দিল্লী থেকে দেশে আসছেন। আগামী রবিবার তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। তার যোগদানের পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের পদে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন সিনিয়র সচিবের পাশাপাশি দুই বিভাগের একটিতে একজন সচিব দেওয়া হবে। তবে মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের কাছে অধিকতর পরীক্ষার জন্য রয়েছে। পরীক্ষা শেষে এটি পুনরায় সচিব কমিটিতে উত্থাপন এবং অনুমোদনের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আদেশ জারি করবে।
সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে জানা গেছে, হাতে গোনা দু’একটি পদে ছাড়া শূন্য হওয়া বেশিরভাগ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে না। সে ক্ষেত্রে ১৯৮৪ এমনকি ১৯৮৫ ব্যাচ থেকেও সচিবের পদে কর্মকর্তা আনা হতে পারে। ১৯৮৫ ব্যাচের কাউকে আনা হলে তা হবে এই ব্যাচ থেকে সচিব করার প্রথম পদক্ষেপ। ইত্তেফাক