দুর্নীতির দায়ে বিএনপির আরো ডজনখানেক নেতার সম্পদ বাজেয়াপ্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে দুদক। আইনজীবী ও দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাগুলো এখন বিচারাধীন রয়েছে। সাদেক হোসেন খোকার মতো এসব মামলার রায়ও দুদকের পক্ষে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার গুলশানের বাড়ি এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের জামি বাজেয়াপ্ত করে সরকার। পাশাপাশি অবৈধভাবে ১০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের সম্পদ আর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
উচ্চাদালতে বিএনপি’র আরো বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও তথ্য গোপনের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এরমধ্যে আছেন আমনুল্লাহ আমান, মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলাল, সিলেটে বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মঞ্জুল আহসান মুন্সি, হাফিজ ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে মামলার অনুশুনানিও।
দুদকের জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, এদের বিরুদ্ধে এ ধরণের আরো অনেকগুলো মামলা স্থগিত আছে। ১/১১’র সময় প্রায় শ’খানেক মামলার সাজা হয়েছিলো এবং তারা সবাই হাইকোর্ট ডিভিশনে আপিলও করেছিলো। আপিল বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত ২৭টি মামলা হাইকোর্টে রির্টান পাঠিয়েছে। সেগুলো এখন তালিকায় আছে। আমরা আশা করছি মামলাগুলোর শুনানি দ্রুত শুরু হবে। একটি মামলা আংশিক স্থিত অবস্থায় আছে।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে বনানীতে বিএনপির ৫৪ নেতার প্লট নেওয়ার অভিযোগও খতিয়ে দেখছে দুদক। সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীম ও আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্লট নেওয়ার অভিযোগে মামলার সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাকিদের বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগের সত্যতা পায়নি দুদক।
অন্যদিকে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের গুলশানের বাড়ি মামলায় রায় হয়েছে দুদকের পক্ষে। এর বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেছেন মওদুদ। দুদক বলছে দক্ষ আইনজীবী ও তৎপরতা বাড়ায় অবৈধ সম্পদ অর্জনে বিচারাধীন মামলা নিয়ে আশাবাদী তারা।
দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের দক্ষ আইনজীবী রয়েছেন। যারা আদলতে সঠিকভাবে মামলা উপস্থাপন করেন। যার কারণে কমিশনের মামলায় সাজার হার বেড়ে যাচ্ছে। একসময় সাজার হার ছিলো ৩৭ ভাগ। তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ ভাগের কাছাকাছি। এটা আরো বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছি। যাতে কোনভাবেই কোন দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তি আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে না যায়।’
সচিবের দাবি, দুর্নীতির মামলায় রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় নেয় না দুদক।
সূত্র: যমুনা টিভি।