৩রা অক্টোবর, ২০১৬ ইং, সোমবার ১৮ই আশ্বিন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
  • প্রচ্ছদ » slider 6 » না’গঞ্জের সাত খুন: নূর হোসেনকে এবার বিরিয়ানীর বদলে চিড়া-গুড়
পরবর্তী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন জানালেন সোনিয়া গান্ধী


না’গঞ্জের সাত খুন: নূর হোসেনকে এবার বিরিয়ানীর বদলে চিড়া-গুড়


Amaderbrahmanbaria.com : - ৩০.০৯.২০১৬

নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জ আদালতে আলোচিত সাত খুন মামলার আসামিদের ভাগ্যে এবার বিরিয়ানী জুটেনি। দুপুরের খাবার বিরতিতে খাওয়ানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে নিয়ে আসা চিড়া ও গুড়।

আদালতের কাঠগড়া থেকে নিরাপত্তায় কোর্ট হাজতখানায় নিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে নূর হোসেন, বরখাস্ত লে. কর্ণেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদসহ ২৩ আসামিকে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়। খাওয়ার সময় তাদের গ্লাসে করে পানি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরার সময় দুপুর দেড়টায় বিরতি দেয়া হয়।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, আদালতের কাঠগড়ায় দুপুরের খাবার বিরতিতে আসামিরা বিশৃঙ্খলা করে। এজন্য বৃহস্পতিবার খাবার বিরতির সময় কঠোর নিরাপত্তায় কোর্ট হাজতে নিয়ে চিড়া ও গুড় খাওয়ানো হয়েছে।

সকাল সাড়ে ৯টা হতে পৌনে ৫টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাত খুনের দুটি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ২৩ আসামির উপস্থিতিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মন্ডলকে জেরা করা হয়।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা চলাকালীন দুপুরের খাবার বিরতিতে নূর হোসেনের পক্ষ থেকে সকল আসামিকে বিরিয়ানী খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওইসময় বিরিয়ানী না পেয়ে র‌্যাবের বহিস্কৃত হাবিলদার এমদাদ হোসেন নূর হোসেনকে চড় থাপ্পড় মারেন। এ নিয়ে কাঠগড়ায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

এদিকে তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, আরিফ ও এমএম রানা’র পক্ষে আইনজীবীরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মন্ডলকে ঘটনা ও অভিযোগপত্র সম্পর্কে জেরা করেন। তাদের জেরা শেষ হওয়ারপর ৩টায় নূর হোসেনের পক্ষে আইনজীবী খোকন সাহা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করেন। বিকেল পৌনে ৫টায় আদালত আগামি ৩ অক্টোবর পর্যন্ত নূর হোসেনের পক্ষে অসমাপ্ত জেরা মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, নূর হোসেনের পক্ষে অসমাপ্ত জেরা আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেছেন আদালত।

সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে। এখন পর্যন্ত সাত খুনের দুটি মামলায় অভিন্ন ১২৭ সাক্ষীর মধ্যে ১০৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন শেষে জেরা শুরু হয়েছে।





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদক : বিশ্বজিত পাল বাবু
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close