জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আটকে থাকা হাতিটিকে দূর থেকে ট্র্যাঙ্কুলাইজার যন্ত্রের মাধ্যমে অচেতন করা সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে হাতিটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় উদ্ধারকারী দল।
উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে স্থানীয় রহিম মণ্ডলের বাড়ির পেছনে ট্রাঙ্কুলাইজার গান দিয়ে ভারতীয় সেই হাতিটি অচেতন করা হয়।
হাতি উদ্ধারকারী দলের অন্যতম সদস্য ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সাবেক ভেটেরিনারি সার্জন তপন কুমার দে বলেন, দুপুরে হাতিটি ট্রাঙ্কুলাইজার গান দিয়ে অচেতন করা হয়। ট্রাঙ্কুলাইজার গান দিয়ে অচেতন করার ওষুধ প্রয়োগের পর হাতিটি দৌড়ে গিয়ে একটি খালে পড়ে যায়। এরপর রশি টেনে সেটি ডাঙায় তোলা হয়। আপাতত সেখানে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকালে বন্যহাতিটি বৃহস্পতিবারের মধ্যেই আটকে ফেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল উদ্ধারকারী দল। গত জুনে বাংলাদেশে আসার পর নানা জায়গা ঘুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের সৈয়দপুরে অবস্থান করছিল হাতিটি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বানের পানিতে ভেসে আসা বন্যহাতিটি কুড়িগ্রামের রৌমারী, গাইবান্ধা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের মুনসুর নগর ইউনিয়নের ছিন্নার চর হয়ে ২৭ জুলাই জামালপুরের সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নে আসে।
হাতিটি উদ্ধারে বেশ কয়েকদিন ধরেই সরিষাবাড়ীতে অবস্থান করছে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ দল। এর মধ্যে গত বুধবার ভারত থেকে তিনি সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ এসে হাতি উদ্ধারের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার তাদের হাতি ছাড়াই দেশে ফিরতে হয়।