নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনানবনির্মিত স্বপ্নের পায়রা বন্দরে প্রথম সমুদ্রগামী জাহাজ আসার মাধ্যমে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম আগামী শনিবার উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং পায়রা বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সাইদুর রহমান উদ্বোধনের সময় কলাপাড়ায় অবস্থিত পায়রা বন্দরে উপস্থিত থাকবেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবারের অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, সংসদ সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক কলাপাড়ায় অবস্থিত পায়রা বন্দরে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পায়রা বন্দরের বহির্নোঙ্গর এবং রাবনাবাদ চ্যানেলের মুরিং বয়াতে জাহাজ মুরিং করে মালামাল খালাসের মাধ্যমে অপারেশন কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে চীন থেকে প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এম ভি ফরচুন বার্ড’ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন পাথর নিয়ে বহির্নোঙ্গরে অবস্থান করছে। এসব পাথর পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া মালয়েশিয়া ও ভারত হতে আরও দু’টি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে আসার অপেক্ষায় আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম উদ্বোধন করলে স্বল্প পরিসরে পায়রা বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম শুরু হবে। আর এ অপারেশনাল কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পর ২০১৩ সালে সৃষ্ট এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় লালুয়া ইউনিয়নে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা বন্দরের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।
উদ্বোধনের পর হতে এ বন্দর ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তোলার জন্য ০৩টি লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম লক্ষ্যমাত্রা- বন্দরের বহির্নোঙ্গরে ক্লিংকার, সার ও অন্যান্য বাল্ক পণ্যবাহী জাহাজ আনয়ন ও লাইটার জাহাজের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে পরিবহন করে স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু করা। দ্বিতীয় লক্ষ্যমাত্রা—আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে পায়রা বন্দরে অন্তত একটি কন্টেইনার টার্মিনাল ও একটি বাল্ক টার্মিনাল প্রস্তুত করা এবং তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রা—পরবর্তী ৫ বৎসরের মধ্যে (২০২৩ সাল) ধাপে ধাপে বন্দরের অন্যান্য আনুষঙ্গিক পূর্ণাঙ্গ সুবিধা গড়ে তোলা।এ অপারেশনাল কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।