নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্য ঘোষিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে বিতর্কের মধ্যে নির্বাহী কমিটিতে ‘চুপিসারে’ একজনকে অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ উঠেছে।তবে নির্বাহী কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। সবাইকে অন্ধকারে রেখে হঠাৎ এই অন্তর্ভুক্তির নেপথ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের প্রভাবশালী একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠেছে। এ বিষয়ে বিএনপির দায়িত্বশীলরা কিছু জানেন না।
গত শনিবার বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে দুটি পদ ফাঁকা রেখে ১৭ সদস্যের স্থায়ী কমিটি, ৭৩ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ এবং ৫০২ সদস্যের নির্বাহী কমিটি নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে নির্বাহী কমিটির ওই আকার ৫০৩ জনে রূপ নিয়েছে। দলটির দপ্তরের কমিটির তালিকায় এটি লিপিবদ্ধ হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে কোনো বিজ্ঞপ্তি আসেনি।
নতুন সংযোজিত নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্যের তালিকায় তার স্থান ৫৫-তে। এর আগে ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার নাম ছিল না। গুলশান কার্যালয়ে এক কর্মকর্তা নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই অন্তর্ভুক্তি করেছেন বলেও সূত্রের দাবি।
এ বিষয়ে মোবাশ্বের আলম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির ডা. সিরাজুল ইসলামকে উপদেষ্টা পরিষদে নিয়ে যাওয়ার কারণে শূন্যপদে আমাকে নেওয়া হয়েছে।’
তার ভাষ্য মতে, ‘যেদিন কমিটি ঘোষণা হয়েছে, ওই দিনই আমার নাম নির্বাহী কমিটিতে উঠেছে। দুপুর ১২টায় কমিটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর বিকেল ৪টায় নাম নির্বাহী কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে।’ নিজের নামসহ নির্বাহী কমিটির সেই তালিকা তার কাছে আছে বলেও দাবি করেন মোবাশ্বের আলম।
জানতে চাইলে দলের সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, যশোর এলাকার নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী নুরুল হুদা কমিটি থেকে চলে যাওয়ার কারণে তার শূন্যস্থানে মোবাশ্বেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার কিছুক্ষণ আগেই এই অন্তর্ভুক্তি হয়েছে।
তবে অ্যাডভোকেট কাজী নুরুল হুদা জানান, তিনি কমিটি থেকে কখনোই ইস্তফা দেননি। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে আগেও ছিলেন, এবারের ঘোষিত কমিটিতেও তার নাম রয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এই ধরনের কোনো অন্তর্ভুক্তি হয়নি। আগে যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেটিই চুড়ান্ত।’