রাস্তায় ভাসমান পানি কেনা থেকে সাবধান!
---
নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে মতিঝিলে প্রতিদিন অফিস করতে যান বেসরকারি চাকুরিজীবী মোস্তফা। আজ রোববার সকালেও বাসে করে অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি। মাঝপথে ফার্মগেটের রাস্তায় এক বোতল মাম পানি খেয়ে খোয়া গেল তার মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা।
ঢাকা মেডিকেলের বেডে আবস্থান করা মস্তোফা বলেন, আমি সকাল ৯টায় কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। ফার্মগেট এসে বাসের ভিতরে এক পানি বিক্রেতা থেকে মাম পানি কিনে খাই। পরে আমার কি হয়েছে আমি বলতে পারিনা। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি মেডিকেলের বেডে। আমার মোবাইল মানিব্যাগ ৭ হাজার টাকা কোন কিছুই নেই।
পরে ডাক্তারের কাছে শুনতে পাই, আমি মতিঝিলের এক গলিতে পড়েছিলাম স্থানীয় লোকজন আমাকে মেডিকেলে ভর্তি করে চলে যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রতিদিন এরকম বিভিন্ন বয়সি মানুষ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সবকিছু হাড়িয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়।
এ চক্রকে সহজে প্রশাসন ধরতে পারে না। কখনও দামি কোম্পানির পানিতে কিছু মিশিয়ে খাওয়ায়, কখনও বিভিন্ন খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে অজ্ঞান করে। প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রে তৎপর হলেও এই চক্রকে র্নিমূল করতে পারছে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতাল সূত্র জানায়, ছয় বছরে চার হাজার মানুষ দুই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিটফোর্ড হাসপাতালে মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবীবুল্লাহ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
গত জুন মাসে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনিও অজ্ঞান পার্টির শিকার বলে ধারণা পুলিশের। জুলাই মাসে এক দিনে ১০ জন অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অজ্ঞান পার্টি এমন বেপরোয়া যে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, তাদের কবলে পড়ছে পুলিশ প্রশাসনের লোকও। বিডি-লাইভ