ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের সকল ফ্লাইট বাতিল
---
পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বুধবারের (৩ ফেব্রুয়ারি) সকল অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটিকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পিআইএ-কর্মীদের চলমান আন্দোলনের জেরে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, করাচিতে আন্দোলনরত পিআইএ-কর্মীদের বিক্ষোভে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। এতে দুই পিআইএ-কর্মীর প্রাণহানি হয়। এ ঘটনার জেরে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আন্দোলন আরও জোরদার করা হয়। আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে পিআইএ’র বিভিন্ন বিমানবন্দরের কর্মীরাও কার্যক্রম স্থগিত করেন। এতে স্থবিরতা নেমে আসে পিআইএ’র ফ্লাইট অপারেশনে। এ কারণে, বুধবার সকাল থেকেই সকল ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ইসলামাবাদের বেনজীর ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, করাচি’র জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, লাহারের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পেশোয়ারের বাচা খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত পিআইএ’র শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা তাদের প্রতিষ্ঠানের সকল ফ্লাইট বাতিলের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের (সিএএ) কর্মকর্তারা বলছেন, দিনভর পিআইএ’র শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। কোনো ফ্লাইট পাকিস্তান ছেড়ে যাচ্ছে না, বাইরে থেকেও আসছে না পিআইএ’র কোনো ফ্লাইট। সিএএ’র মুখপাত্র পারভেজ জর্জ বলেন, পিআইএ’র কারণে সৃষ্ট সংকট নিরসন ও যাত্রী ভোগান্তি কমাতে বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ারব্লু’কে অতিরিক্তি ফ্লাইট পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছে। পিআইএ’র ফ্লাইট বাতিলের কারণে যারা ঝামেলায় পড়েছেন, তাদের অনেকে এয়ারব্লু’র সাহায্য নিতে পারছেন। পিআইএ’কে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বেশ ক’সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। কিন্তু মঙ্গলবার করাচি বিমানবন্দরে এ আন্দোলনে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এতে দু’জন পিআইএ-কর্মী নিহত হলে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পদত্যাগ করেন পিআইএ’র চেয়ারম্যান নাসির জাফর। এদিকে, আন্দোলন প্রাণঘাতী সহিংসতার দিকে গড়ানোয় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনি বলেছেন, অচলাবস্থা নিরসন না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।