সোমবার, ২১শে মে, ২০১৮ ইং ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

শাওয়াল মাসে রোজা রাখার ফজিলত ও নিয়ম

শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা মুস্তাহাব। হাদিস শরিফে এই ছয় রোজার অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।

হজরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) সূত্রে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজানে সিয়াম পালন করবে, অতঃপর শাওয়ালের আরও ছয়টি সিয়াম পালন করবে সে সারা বছর রোজা রাখার সাওয়াব পাবে। (মুসলিম : ১১৬৪)।

মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ছয় দিন রোজা রাখবে, সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য। (মুসনাদে আহমাদ ৫/২৮০, দারেমি ১৭৫৫)

নবীজি (সা.) আরও বলেছেন, যারা পবিত্র রমজানের রোজা রাখার পর শাওয়ালের আরও ছয়টি রোজা রাখবে তারা সেই ব্যক্তির মতো হবে, যে সদ্য মায়ের গর্ভ থেকে দুনিয়াতে এসেছে। অর্থাৎ নিষ্পাপ শিশু যার কোনো গোনাহ নেই, যারা শাওয়ালের ছয়  রোজা রাখবে তারাও সেই নিষ্পাপ শিশুর মতো হয়ে যাবে। (তিরমিজি শরিফ)

হজরত ওবায়দুল্লাহ (রা.) বলেন, একদিন রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি কি সারা বছর রোজা রাখতে পারব? তখন রাসুল (সা.) বললেন, তোমার ওপর তোমার পরিবারের হক রয়েছে, কাজেই তুমি সারা বছর রোজা না রেখে, রমজানের রোজা রাখ এবং রমজানের পরবর্তী মাস শাওয়ালের ছয় রোজা রাখ, তাহলেই তুমি সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে। (তিরমিজি শরীফ, ১/১৫৭)

শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম :

মাসের শুরুতে, মধ্যে বা শেষে যে কোনো সময় এই শাওয়াল মাসের রোজা আদায় করতে পারবে। রোজা ছয়টি ধারাবাহিকভাবে বা মাঝে মাঝে ফাঁক রেখেও আদায় করতে পারবে। নারীরা পিড়িয়ডের কারণে কাজা হওয়া রমজান মাসের রোজা আলাদাভাবে আদায় করতে হবে। শাওয়ালের ছয় রোজার সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ত করতে পারবে না। বরং আগে কাজা শেষ করবে, পরে শাওয়ালের ছয় রোজা পালন করবে।

 

Print Friendly, PDF & Email