ইউক্রেনের পার্লামেন্ট বিরোধীদের দখলে
---
ইউক্রেনের পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিরোধীরা। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ বলেছেন, তিনি চক্রান্তকারীদের অভ্যুত্থানের শিকার হয়েছেন। তবে পদত্যাগ করা বা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ইয়ানুকোভিচ গিয়েছেন। খারকিভের অবস্থান রাশিয়ার খুব কাছেই।
দেশটির অভ্যন্তরীণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের স্পিকার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বিরোধী দলের কারাবন্দী নেতা জুলিয়া ইয়ামোশেনকোর মিত্ররা। ২০১১ সাল থেকে কারাবন্দী বিরোধী নেতা ইয়ামোশেনকোর মুক্তির জন্য পার্লামেন্টে আজ ভোটাভুটি হয়। তবে কখন জুলিয়া ছাড়া পাবেন তা স্পষ্ট নয়।
এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। আজ শনিবার কিয়েভে প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে সরে যায় পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। পরে বিরোধী দল ও বিক্ষোভকারীরা সেখানে ঢুকে পড়েন।গতকাল শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও বিক্ষোভকারীরা সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছান। বিরোধী দল দেশটিতে ২৫ মের আগেই নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সকালে বিরোধী দলের নেতা জুলিয়া ইয়ামোশেনকোর অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এর ওপরে পার্লামেন্টে ভোটাভুটিও হয়। ২০১১ সালে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদিকে পার্লামেন্টের স্পিকার ভ্লদিমির রেবেক পদত্যাগ করেছেন। অসুস্থতার কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে বিরোধী নেতা জুলিয়া ইয়ামোশেনকোর মিত্র অলেকসান্দার টার্চিনভকে। ইয়ামোশেনকোর আরেক মিত্র আরসেন আভাকভকে অভ্যন্তরীণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভ-সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানির পর অবশেষে গতকাল আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দিতে রাজি হন ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ। রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে পর পর দুই দিনে সহিংসতায় ৭৫ জন নিহত হলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউক্রেনে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংস ঘটনা। কিয়েভের ইনডিপেনডেন্স স্কয়ারে দুই দিনে সহিংসতায় ৭৫ জন নিহত হওয়ার পর দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কার সৃষ্টি হয়। রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচের পদত্যাগের দাবিতে কিয়েভের ইনডিপেনডেন্স স্কয়ারে গত নভেম্বর থেকে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ইইউপন্থী বিক্ষোভকারীরা। ইয়ানুকোভিচ দেশটির অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ইইউর সহায়তা প্যাকেজ প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার কাছ থেকে সহায়তা নেওয়ায় বিক্ষোভে নামে ইইউপন্থীরা। বিক্ষোভের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে ইনডিপেনডেন্স স্কয়ার। ধীরে ধীরে ওই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়।
এ জাতীয় আরও খবর
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া খালেদা জিয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনের আহ্বান
- সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তুতি মূলক সভায় মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন। দলের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তৃনমূলের ভূমিকা অপরিসিম
- দুনিয়া বলছে দেশে মানবাধিকার নেই: খালেদা জিয়া
- উইন্ডিজকে ১১৫ রানে আটকে ফেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা
- আশুগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান সাজুর মতবিনিময়
- শিগগিরই আসছে মাইক্রোসফটের স্মার্টওয়াচ
- নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা নিয়ে ত্রিমুখি লড়াই!
- ‘মোদি চা’ বনাম ‘রাহুল দুধ’
- নিখোঁজ বিমান নিয়ে আশার আলো
- সদরঘাটে ইচ্ছামতো টোল আর কুলি ভাড়া আদায়
- পুরো দেশ গ্রামীণফোনের থ্রিজির আওতায় এল
- কলেজের ফটক বন্ধ করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ