পুলিশের নির্দেশে মেয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে ৮ কিলোমিটার হাঁটলেন বাবা!
অনলাইন ডেস্ক : পুলিশের নির্দেশে সাত বছরের মেয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আট কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছেন তার বাবাকে। গাড়ি ভাড়ার টাকা না থাকায় অসচ্ছল ওই বাবা মেয়ের লাশ কাঁধে নিয়েই হেঁটে গেছেন ওই হাসপাতালে।
শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি-নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ তছনছ করে দিয়েছে ভারতের উড়িষ্যার রাজ্যের গজপতি জেলাকে। সেখানেই আতঙ্কপুর গ্রামে গত ১১ অক্টোবর নিখোঁজ হয় স্থানীয় মুকুন্দ দোরা নামের এক ব্যক্তির মেয়ে ববিতা। গত বুধবার তার লাশ পাওয়া যায় একটি নালায়। ওই লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মুকুন্দ দোরার বাড়িতে যায় পুলিশ।
মুকুন্দ দোরা বলেন, পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে মৃত মেয়ের ছবি তুলে নিয়ে চলে যায়। এ সময় পুলিশ তাকে জানায়, মেয়ের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ভবানীপাটনা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু পুলিশ লাশ বহন করে নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করেনি। উল্টো তাকেই মেয়ের লাশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
মুকুন্দ দোরা বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ্য আমার নেই। তাই মেয়ের দেহ বস্তায় পুরো কাঁধে চাপিয়েই হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
রাজ্যের ত্রাণ দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, তিতলির সময় ধসে চাপা পড়ে ববিতার মৃত্যু হয়। গত বুধবার তার লাশটি উদ্ধার করা হয় একটি নালা থেকে।
মেয়ের লাশ কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি নিয়ে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গজপতির জেলাশাসক বলেন, ‘ঘটনাটি জানি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’
২০১৬ সালে উড়িষ্যা রাজ্যের কালাহান্ডি জেলাতেও প্রায় এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। তখন হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর লাশ কাঁধে নিয়ে হেঁটে ১০ কিলোমিটার দূরে ঘরে ফিরেছিলেন দানা মাঝি নামে এক ব্যক্তি।