দ্বিতীয় দিনটাও পাকিস্তানের
স্পোর্টস ডেস্ক : একজন নিরপেক্ষ দর্শক এ প্রশ্নের উত্তরে হয়তো না বলবেন। একে তো তীব্র রোদে গ্যালারিতে নেই দর্শক। চার-ছক্কা মারলেও গ্যালারি থেকে কোনো শব্দ ভেসে আসছে না। ব্যাটে–বলের তীব্র লড়াই নেই। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে খেটেখুটে একাকার হচ্ছেন বোলাররা। তাই বলে ব্যাটেও যে ঝড় উঠেছে, তা নয়। পুরো ইনিংসেই রান রেট ৩ ছাড়াতে পারেনি। নিরপেক্ষ দর্শককে টানার কোনো উপকরণই ছিল না দিনের প্রথম দুই সেশনে।
তবু এ দিনটির পক্ষে সাফাই গাইবেন একজন, হ্যারিস সোহেল। ঘাম ঝরানো এক দিনে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন এই ব্যাটসম্যান (১১০)। ২২৩তম বলে গিয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তা–ও ভালো, ফিফটি ছুঁতেই তো ১৪৯ বল লাগিয়ে দিয়েছিলেন সোহেল। দ্বিতীয় দিনে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের দ্বিতীয় উজ্জ্বলতম মুখ আসাদ শফিক ফিফটি পেয়েছেন ১১১ বলে। তবে সোহেলের মতো ভাগ্যবান নন শফিক। সেঞ্চুরি থেকে ২০ রান দূরে আউট হয়েছেন মারনাস ল্যাবুশেইনের দারুণ এক লেগ স্পিনে।
শুধু সোহেল বা শফিক নন, আরব আমিরাতে নিজেদের চেনা ফর্মুলাতে হেঁটেছে পুরো পাকিস্তান দল। ব্যাটিংয়ে নেমে দাঁতে দাঁত চেপে এই তীব্র উষ্ণতায় ৪০০ ছাড়িয়ে যাওয়া। এরপর ভাঙতে থাকা উইকেটের সাহায্য নিয়ে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট আদায় করে নিয়ে ম্যাচ জিতে নেওয়া। সে পরিকল্পনায় বাদ সেধেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম পাঁচ সেশনে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১৭ রান তোলা পাকিস্তান চা-বিরতির পর ৬৫ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে বাকি উইকেটগুলো।
দিনের খেলা শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে ব্যাট করতে নামতে হয়েছিল উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চকে। অভিষেক ইনিংসে নিজের স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করে টেস্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত প্রমাণ করেছেন ফিঞ্চ (৩৮ বলে ১৩ রান)। তাঁর চেয়ে রান তোলায় একটু এগিয়ে আছেন খাজা (৪০ বলে ১৭)।