ইরানের আহভাজে নিহতদের জানাজায় মানুষের ঢল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের আহভাজ শহরে সামরিক কুচকাওয়াজে বন্দুক হামলায় নিহত ২৫ জনের জানাজায় হাজারও মানুষ অংশ নিয়েছে। সোমবার তেলসমৃদ্ধ খুজেস্তান প্রদেশের এই শহরের রাস্তায় শোক প্রকাশকারীদের ঢল নামে। এসময় তারা ইরানের পতাকা ও হামলার শিকার ব্যক্তিদের ছবি বহন করছিলেন। খবর আল-জাজিরার।
ইরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় আহভাজে শনিবারের ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন চার বছর বয়সী শিশু এবং দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডের ১২ জন সদস্য রয়েছেন।
সামরিক পোশাক পরিহিত বন্দুকধারী কুচকাওয়াজরত সেনাসদস্য, দর্শক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। নিহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আহভাজ শহরের আর বাকিরা খুজেস্তানের বাসিন্দা।
আহভাজ শহরের বাসিন্দা ঘাসেম ফারহানি বলেন, ভিড়ের দিকে তাকিয়ে দেখুন। কোনও ভীতি ছাড়াই সেনাসদস্য ও শহীদদের বিদায় জানাতে তারা জড়ো হয়েছেন।
শোক জানাতে আসা ব্যক্তিরা এসময় ‘আমেরিকার মৃত্যু’ এবং ‘ইসরায়েলের মৃত্যু’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
ইরানের গোয়েন্দামন্ত্রী মাহমুদ আলাভিয়া বলেছেন, অনেক সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা গেছে এবং ‘তাদের মধ্যে অনেককেই আটক’ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এক এক করে সব সন্ত্রাসীদের শাস্তি দেবো।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ‘দাতভাঙা জবাব’ দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। আর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ‘এই অঞ্চলে তাদের মিত্রদের’ ওপর দায় চাপিয়েছেন।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেছেন- আঞ্চলিক সন্ত্রাসের মদদদাতারা এই হামলার জন্য দায়ী। এজন্য ‘তাদের আমেরিকান প্রভুরা দায়ী’।
অন্যদিকে রেভল্যুশনারি গার্ডের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার জেনারেল হুসেইন সালামি প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তিনি এটিকে সৌদি আরব, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিমুখী কাজ বলেও উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ওই হামলার পর আল-আহভাজিয়া সশস্ত্র গ্রুপ এবং ইসলামিক স্টেটও ওই হামলার দায় স্বীকার করে। কিন্তু ইরানি কর্মকর্তারা এই হামলার জন্য একটি আরব বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ ও তাদের আন্তর্জাতিক সমর্থক গোষ্ঠীর দিকে অভিযোগ তুলেছেন।