১৩শ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জে নির্মিত হচ্ছে দ্বিতীয় কন্টেইনার নদীবন্দর
ভারতের দ্বিতীয় ক্রেডিট লাইনের সহায়তায় প্রায় ১৩শ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জে অভ্যন্তরীণ দ্বিতীয় কন্টেইনার নদীবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নের পরিমাণ হচ্ছে ৮৬২ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ৪৩১ কোটি টাকা হচ্ছে ভারতীয় ঋণ। অর্থাৎ প্রকল্পের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থই দেবে বাংলাদেশ সরকার।
জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এর পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা প্রতিবেদন ও টার্মিনালের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চর চারতলা ইউনিয়নের মহরমপাড়া গ্রামের নদীতীরে এই বন্দর স্থাপন করা হবে। আগামী ২০২১ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। বন্দর নির্মাণে মোট ১৩ হেক্টর বা ৩২ একর জমি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণ করা হবে ২০ একর, আর অবশিষ্ট ১২ একর জমি ইজারা নেয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় কন্টেইনার জেটি, মাল্টিপারপাস জেটি ও ইয়ার্ড, ব্রিজসহ এক্সেস রোড, তীর সংরক্ষণ, ট্রানজিট শেড, কার্গো শেড, অফিস ভবন ইত্যাদি নির্মাণ ছাড়াও দুটি মোবাইল হারবার ক্রেন ক্রয় করা হবে। এর মধ্যে একটি ২৫০ টিপিএইচ ক্ষমতা সম্পন্ন।
জানা যায়, আশুগঞ্জ দিয়ে নদীপথে ভারতকে ট্রানজিট দিয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে আশুগঞ্জকে একটি ট্রানশিপমেন্ট বন্দরে উন্নীত করা হচ্ছে। এটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম, মোংলা ও অন্যান্য বন্দর থেকে পণ্যবাহী কন্টেইনার অভ্যন্তরীণ নৌ-পথ ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নেয়া যাবে। পাশাপাশি ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় পণ্য পরিবহনে ভারতও এ বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
ফলে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্যিক সুবিধা সৃষ্টি হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কলকাতা থেকে নৌ-পথে আসা পণ্যবাহী কন্টেইনার আশুগঞ্জ নৌ বন্দর দিয়ে আখাউড়া হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যাবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে নৌ-পথে পরিবহন করা কন্টেইনার উঠানামা করতেও এই বন্দর ব্যবহার করা যাবে।
সূএ:দৈনিক আমাদের অর্থনীতি