সাপ-বিচ্ছুর সঙ্গে খেয়ে আসুন
অনলাইন ডেস্ক: আপনি সাপ-বিচ্ছুর সঙ্গে খাবার খেতে চান? তাহলে চলে আসুন কম্বোডিয়ায়। সেখানে একটি রেস্তোরাঁ আছে, যেখানে সাপ, বিচ্ছু, গিরগিটির মতো সরীসৃপ প্রাণীদের সঙ্গে নিয়ে খাবার খেতে পারবেন। ছুঁয়ে দেখবেন, হাতে নেবেন, কাঁধে নেবেন—কিচ্ছু হবে না।
বার্তা সংস্থা এএফপি, এনডিটিভি ও ডেইলি মেইলের মতো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে ভিডিওসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজধানী নমপেনে এই রেস্তোরাঁ চালু করেছেন স্থানীয় এক নাগরিক। নাম চে রতি। ক্রেতা আকর্ষণেই তাঁর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সরীসৃপ প্রাণী নিয়ে মানুষের ভয় দূর করতেই এ রেস্তোরাঁ চালু করেছেন।
এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এর আগে নমপেনে বিড়ালের রেস্তোরাঁয় মানুষজনের ভিড় দেখা যায়। কিন্তু নতুন এই রেস্তোরাঁ হওয়ার পর মানুষ সেখানে ভিড় করতে শুরু করেছেন।
রেস্তোরাঁর মালিক চে রতির ভাষ্য, প্রথমে মানুষ এসব প্রাণী দেখে ভয় পেত। কিন্তু এখন তারা উপভোগ করছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই রেস্তোরাঁয় খেতে আসা মানুষজন বিভিন্ন রঙের সাপ কোলে-পিঠে নিচ্ছে। গিরগিটি ও বিচ্ছুজাতীয় প্রাণী শরীরে জড়াচ্ছে। এসব প্রাণীর সঙ্গে সেলফি তুলছে।
১ মিনিট ২২ সেকেন্ডের এক ভিডিওতে দেখা যায়, পৃথকভাবে কয়েক যুবক সাপ ও বড় আকারের গিরগিটি নিয়ে খেলছেন। একজন তাঁর কোল্ড কফির গ্লাসে পেঁচিয়ে দিচ্ছেন ছোট আকারের একটি পাইথন। আবার দুই তরুণীকে দেখা যায়, সাপ কাঁধে জড়িয়ে ছবি তুলছেন।
শুধু খাবারের টেবিলেই এসব প্রাণীর দেখা মিলছে না রেস্তোরাঁটিতে। রেস্তোরাঁর চার দেয়ালজুড়েও কাচের বাক্স ও খাঁচায় রাখা আছে বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপজাতীয় প্রাণী। পাশাপাশি খাঁচার ভেতরে ও বাইরে আছে রংবেরঙের পাখি।
ওয়াই নাভিম নামের ২২ বছর বয়সী এক ক্রেতা এএফপিকে বলেন, ‘আমি এমন রেস্তোরাঁ এর আগে কখনো দেখিনি। এটি অসাধারণ। কখনো ভোলার মতো নয়।’
অনেকে এভাবে প্রাণীদের আটকে রাখারও সমালোচনা করছেন। এমনই দুই সমালোচক এএফপিকে বলেন, এসব প্রাণী বনে ছেড়ে দেওয়া উচিত। তবে রেস্তোরাঁর মালিক এই সমালোচনার পাল্টা উত্তরও দিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁর রেস্তোরাঁর প্রাণীগুলো থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা। এসব প্রাণী এভাবেই লালন-পালন করতে হয়। বাইরে ছেড়ে দিলে বাঁচতে পারে না।