অন্য রাষ্ট্রের স্বার্থে আর কোনো যুদ্ধ করবে না পাকিস্তান’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদেশি কোনও রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় আর লড়াই করবে না পাকিস্তান। দেশের স্বার্থই সবার আগে। বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিণ্ডিতে সেনা শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
শুক্রবার ইমরান খান বলেন, তিনি চান বিশ্বের কোনও সন্ত্রাসবাদের যুদ্ধে জড়াবে না পাকিস্তান। কারণ দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান তিনি।
তাঁর মতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা অত্যন্ত বেশি। সেসব দিকে আগে নজর দেওয়া দরকার। ইমরান খান বলেন, প্রথম থেকেই তিনি চেষ্টা করছেন দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতে। এরজন্য চেষ্টা করে চলেছে তার সরকার।
পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করবে দেশের সরকার। সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াও এই বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেছেন বলে জানান ইমরান। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য যেভাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কাজ করে চলেছে, তার প্রশংসা করেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। শক্তিশালী সেনাবাহিনী যে কোনও দেশের গর্ব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একই সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। সেনাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পৃথিবীর অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এত আত্মত্যাগ করেনি।
সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করলেও ইমরানের এই মন্তব্য আসলে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্দেশে একটি বার্তা বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন স্বার্থ দেখছে না পাকিস্তান। বেশ কিছুদিন ধরেই এই অভিযোগ জানিয়ে আসছে হোয়াইট হাউস।
গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ ৩০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য বাতিল করার কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের হটাতে পাকিস্তানের সাহায্য দরকার যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু পাকিস্তানি সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে সেই লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে নেই। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া টাকায় পাকিস্তানি সেনাদের মদতে রমরমিয়ে চলছে সন্ত্রাসের বিভিন্ন ঘাঁটি।
পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে গজিয়ে ওঠা সন্ত্রাসের ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করা বরাবরই মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অংশ। যে কারণে ইসলামাবাদকে যথেষ্ঠ আর্থিক ও সামরিক সাহায্য দিয়ে থাকে ওয়াশিংটন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন সময় ইমরানের মন্তব্যে স্পষ্ট, যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো পথে আর হাঁটতে নারাজ পাকিস্তান।