রবিবার, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ২৫শে ভাদ্র, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

৫ জন সেলিব্রিটি যাদের এইডসে মৃত্যু হয়েছে, প্রথম জনকে দেখলেই চমকে যাবেন…

বিনোদন ডেস্ক : মরণঘাতি এইডস রোগের কথা তো আমাদের সবারই জানা। এই রোগের ফলে রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদম কমে আসতে শুরু করে। বিশ্বজুরে এই রোগটিকে একটি ভয়ংকরতম রোগ হিসেবে ধরা হয়। এই রোগে ৯ জুলাই ১৯৮৬ সালে ভারতের প্রথম রোগীর মৃত্যু ঘটে। এই রোগের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতিবছর এইডস দিবস পালিত হয়।

এইডস এ মরার মধ্যে সাধারণ লোকদের সাথে সাথে অনেক সেলিব্রিটিরাও আছেন। আজকে আমরা আপনাদের সেই সমস্ত তারকাদের কথাই বলবো যারা মরণঘাতি এইডস রোগে মারা গেছেন।

১. আশির দশকের খুব জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিশা নুর আশির দশকে নিশা নুর নাম কে সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একজন সুপারস্টার হিসেবেই ধরা হত। উনি ‘কল্যায়ানা আগাথিগল’ নামের মতোন হিট সিনেমাও করেছেন। একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক ওনাকে বিপথে ঠেলে দিয়েছিল খবর অনুযায়ী একজন প্রযোজক তাকে নীল জগতে ঠেলে দিয়েছিলেন এবং তার পরেই তিনি খুব বদনাম হয়ে যায় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। পরে তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেন তার জন্য। বাজে অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া গেয়েছিলো নিশাকে । মিডিয়ার খবর অনুযায়ী নিশা শহরের দরগার পাশে রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তার আশেপাশে পোকা-মাকড় এবং পিঁপড়ে ধরেছিল। মানুষজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তখন জানা যায় যে ওনার এইডস হয়েছে এবং তারপর ২০০৭ এ ওনার মৃত্যু ঘটে।

২. টিভিতে এইডস এবং সমকামি ব্যাপারে খোলাখুলি বলতেন পেড্রো পাবলো জামোরা । একটা সময় ছিল যেখানেই আমেরিকার সমকামিতাকে একটি অপরাধ বলে মানা হতো, তখন পাবলো টিভির সামনে খোলাখুলি অনেক কথা বলেছিলেন। MTV এর বিখ্যাত শো ‘The real world : san fransisco’ তে নিজের রোগের কথা উনি খোলাখুলি বলেছিলেন এবং এটাও বলেছিলেন যে ওনার পার্টনার সীন সাসার ও এইডস এ আক্রান্ত। ১৯৯৪ তে মৃত্যু হয় পাবলোর । ১১ ই নভেম্বর ১৯৯৪ সালে এইডসের সাথে লড়তে লড়তে মারা যান।‌ ওনার মৃত্যুর কিছুদিন পরই ওনার পার্টনারেরও মৃত্যু ঘটে।

৩. ২৬ বছর বয়সেই জিয়া সারেঙ্গীর এইডস হয়েছিলো । বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলির জন্য মডেলিং করতেন জিয়া সারেঙ্গী। মাএ ২৬ বছর বয়সে জিয়ার এইডস হয়েছিলো। উনার ক্যারিয়ার যখন টপে তখন তিনি ড্রাক্সের নেশার শিকার হয়ে পড়েন এবং ওনার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়।

এইডস এর কারণে ওনার মৃত্যু ঘটে । নিউমোনিয়ার কারণে যখন ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন ডাক্তাররা ওনার শরীরে এইচআইভি পজেটিভ ভাইরাস পান এবং তারপরে কিছুদিনের মধ্যেই ওনার মৃত্যু ঘটে।

৪. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডেভিস কাপে নিজের টিমের নেতৃত্বে ছিলেন আর্থার ইয়াস । আর্থার ইয়াস আমেরিকার একজন মহান টেনিস খেলোয়াড় তিনি সর্বপ্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডেভিস কাপের নেতৃত্ব করেন এবং তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিমেলডনও জেতেন। যখন উনি জানতে পারেন যে উনি এইডসের দ্বারা আক্রান্ত তখন তিনি সমাজের এবং দেশে এইডস এর ব্যাপারে সচেতনতা প্রচার করেন।

এইডস এর সাথে লড়াই করতে করতে ১৯৯৩ তে আর্থারের মৃত্যু ঘটে।

৫. আশির দশকের জনপ্রিয় গিটারিস্ট রিকি বিল্সন। আশির দশকের আমেরিকার মিউজিক ব্রান্ড B52 খুব জনপ্রিয় ছিল। এই ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট রিকি ১৯৮৩ সালে জানতে পারেন যে ওনার এইডস হয়েছে।

দু’বছর পর ওনার মৃত্যু ঘটে ।রোগের সাথে লড়তে লড়তে ১৯৮৫ সালে রিকির মৃত্যু হয়।

এইডস এর জন্য বহু লোক পৃথিবীতে রোজ মরছে। তাই আমাদের দরকার এই রোগের ব্যাপারে পুরোপুরি ভাবে জাকরুক হওয়া। আপনি এই আর্টিকেলটি নিজের বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে তাদেরকেও জাকরুক করতে পারেন।