শেখ হাসিনাতেই আস্থা বিশ্বনেতাদের
ডেস্ক রিপোর্ট : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। যোগাযোগ, শিক্ষা, বিদ্যুৎসহ যাবতীয় সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এসব কিছু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে। তাই বিশ্ব নেতাদের কাছে শেখ হাসিনা এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
উন্নয়নের পাশাপাশি জঙ্গিবাদ দমনেও বিশ্বনেতাদের বাহবা পেয়েছেন শেখ হাসিনা। ট্রাম্প, আন্তনিস সামারাস, শিনঝো আবে, সোনিয়া গান্ধী, জাস্টিন ট্রুডো, নরেন্দ্র মোদিসহ বিশ্বের অনেক নেতাই শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেছেন এবং প্রশংসা করেছেন।
বাংলাদেশের চলমান আর্থসামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে ২০১৪ সালের ১৭ই অক্টোবর গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আন্তনিস সামারাস বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার যেভাব অবস্থান নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে চলার পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবে। একইসঙ্গে উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের কর্মঠ জনশক্তিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মত দেন তিনি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচনে জাপানকে সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিনঝো আবে আরো বলেছেন, তার সময়কালে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। দিনে দিনে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও দুই দেশের সম্পর্ক গুরুত্ব পাচ্ছে। (২২ এপ্রিল, ২০১৫)
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, সন্ত্রাস ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। (১০ এপ্রিল, ২০১৭)
মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দুর্দশায় পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছেন, ‘নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে করণীয় নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সব নারী, পুরুষ ও শিশুদের সহায়তায় শেখ হাসিনা যা করেছেন তার সব কিছুর জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ (২৫ মার্চ ২০১৮)
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় দৃঢ়তার সঙ্গে নেতৃত্ব দেয়ায় শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। (১৯ এপ্রিল ২০১৮)
এছাড়াও ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আর্থসামাজিক দিক থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘দৃঢ় ও সাহসী’ নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। মোদি বলেছেন, তার নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে মোদি বলেছেন, ‘আপনাদের নিজের দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সব কটি সূচকে আপনারা এখন পাকিস্তানের চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে রয়েছেন।’ (২৩ এপ্রিল ২০১৮)
বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন শেখ হাসিনা। কাজের আস্থা ও স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা শেখ হাসিনাকে দিয়েছে সম্মাননা।
চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি প্রদান করে। নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য একই বছর পেয়েছেন ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন ‘চ্যানেল ফোর’ তাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ আখ্যা দেয়, দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস আখ্যা দিয়েছে ‘স্টার অব দি ইস্ট’।
২০১৬ সালে শেখ হাসিনাকে ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ পুরস্কার’ ও ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কার প্রদান করে জাতিসংঘ। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরষ্কার-২০১৫ ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ’ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য পান ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’। রাজনীতিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য পান ওম্যান ইন পার্লামেন্ট (ডব্লিউআইপি) গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড। নারী ও শিশু শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে শেখ হাসিনাকে ‘শান্তিবৃক্ষ পদক’ পুরস্কারে ভূষিত করে ইউনেস্কো। সমুদ্রসীমা জয়ের জন্য ২০১৪ সালে ‘সাউথ সাউথ’ পুরস্কার দেয় জাতিসংঘ।
এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অবদানের জন্য ‘মান্থন অ্যাওয়ার্ড’, ‘ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড’, ‘কালচারাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’, ‘গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’, ‘সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড’, জাতিসংঘের ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অ্যাওয়ার্ড’, ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক-২০০৯’, ‘পার্ল এস বাক পদক’, ‘ডক্টরস অব হিউম্যান লেটার্স’, ‘সেরেস পদক’, ‘মাদার তেরেসা পদক’, ইউনেস্কোর ‘ফেলিং হুফে বইনি শান্তি পুরস্কার’, ‘নেতাজি মেমোরিয়াল পদক-১৯৯৭’সহ বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ও সম্মাননা পেয়েছেন।
পাশাপাশি শেখ হাসিনা তার নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের কারণে বিভিন্ন স্বীকৃতিও অর্জন করেছেন। এর মধ্যে বিশ্বখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর শত নারীর তালিকায় ৩৬তম এবং নিউইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরিপে ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেন। সূত্র : বিডি পিপলস ভয়েস