ব্যাংকের লাইসেন্স পাচ্ছে পুলিশ
নিউজ ডেস্ক: কমিউনিটি ব্যাংক পেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানায় ‘কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ’ নামে আসছে এই বাণিজ্যিক ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মিত পর্ষদ সভায় ‘কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ’ নামে নতুন এ ব্যাংক চালুর অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এখন প্রস্তাবিত ব্যাংকটির লেটার অব ইনটেন্ট বা আগ্রহপত্র দেবে কেন্দ্রিয় ব্যাংক। কিছু প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত লাইসেন্স দিলে ব্যাংকটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
এ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হলে দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৮টি।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে ব্যাংকটির অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে পুলিশ সদর দপ্তরের কল্যাণ ট্রাস্ট।
পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় ৪০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কনস্টেবল থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পর্যন্ত পদমর্যাদার প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এই ব্যাংকের মাধ্যমে সারাদেশে পুলিশ সদস্যদের বেতন দেয়া হবে। আপাতত পুলিশ সদস্যরাই হবেন এই ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার।
‘কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ’ এর লভ্যাংশ যাবে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে। ট্রাস্টের মাধ্যমে ওই টাকা ব্যয় হবে পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে। ব্যাংক লাভজনক হলে তিন বছর পর মূলধন জোগানের ওপর প্রত্যেকে নির্ধারিত হারে লভ্যাংশ পাবেন। এছাড়া পুলিশ সদস্যদের জমি ক্রয়, বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসা উদ্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্যাংকের মাধ্যমে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের আয় বাড়লে সদস্য ও তাদের পরিবারকে চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা বর্তমানের চেয়ে বাড়ানো হবে। সদস্যরা অবসর সুবিধা, তাদের সন্তানের শিক্ষাবৃত্তি, কারিগরি শিক্ষাবৃত্তি, ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবেন এ ব্যাংকের মাধ্যমে। অন্য অনেক সংস্থার মতো পুলিশের নিজস্ব ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর সঠিক ও স্বচ্ছ লেনদেনের কারণে জনগণের মধ্যে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলে মনে করেন সংশ্নিষ্টরা।
সূত্র জানায়, পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা জমা দেওয়ার পরই অনুমোদন দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় গুলশানের পুলিশ প্লাজা কনকর্ড টাওয়ারে স্থাপন ও জনবল নিয়োগসহ নানা প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।