উৎপাদন বাড়ায় চাল আমদানি কমেছে বাংলাদেশের
গত ২ মাসে বাংলাদেশে চালের আমদানি কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ জানিয়েছে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে চাল আমদানি কমে ৬ লাখ টনে নেমে আসবে। বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় আমদানির পরিমাণ কমেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বের খাদ্য শস্য আমদানির হিসভব রাখা সংগঠন ব্লাক সি গ্রেইন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা মোট ৩৮.৯২ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করেছে। যা গত ৩ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ আমদানি। এই তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বর্তমান অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৮ হাজার ৬০ টন শষ্য আমদানি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ মনে করছে জুলাই মাস থেকে আরোপিত ২৮ শতাংশ শুল্কই এই আমদানি কমে যাওয়ার মূল কারণ। যুক্তরাষ্ট্রের এই সরকারি দপ্তরটির প্রকাশিত বাংলাদেশ গ্রেইন অ্যান্ড ফিড আপডেটে বলা হয়েছে, ‘বোরো ধানের বাম্পার ফলনে বাংলাদেশে ধানের দর কমে গেছে। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। এই পরিস্থিতি অনুধাবন করে বাংলাদেশ সরকার কৃষক রক্ষায় তড়িৎ ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। উচ্চ আমদানি শুল্ক নিশ্চিতভাবেই শষ্য আমদানি আরো হ্রাস পাবে। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়বে এবং ভোক্তাদেরও খরচ বাড়বে।’
তবে সংস্থাটি জানিয়েছে বাংলাদেশের গম আমদানি বৃদ্ধি পাবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫৮.৮০ লাখ টন গম আমদানি করেছিলো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ৩.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ৬৫ লাখ টনে। এছাড়াও বৃদ্ধি পাবে ভুট্টা আমদানি। এর আগের বছর ১৬ লাখ টন ভুট্টা আমদানি হলেও এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ২০ লাখ টনে। ব্লাক সি গ্রেইন