মাহমুদুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা: মোশাররফ
মাহমুদুর রহমানকে হত্যা করতেই আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আওয়ামী লীগের তথ্য প্রচার সম্পাদক বাদী হয়ে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে মাহমুদুর রহমানকে হত্যা করবার জন্য এই আক্রমণ চালিয়েছে। আমরা মিডিয়ায় দেখেছি, সেখানে পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও একটি গাড়ির ওপরে চারিদিক থেকে হামলা করা হয়েছে। সুতরাং এটা পরিকল্পিত। আর এটা যে পরিকল্পিত সেটা বুঝা যায়। তা না হলে, যে বাদী এবং যারা সন্ত্রাসী, তারা বিকেল ৪টা পর্যন্ত সেখানে কেনো অবস্থান করবেন?
মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার করা হবে- সরকারের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার লোক দেখানোর এসব কথা বলছেন। আবার যিনি এই হামলাকারীদের নেতা। তিনি না কী কুষ্টিয়াতে সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছেন, তিনি এই হামলার বিচার চান।
তার প্রতি প্রশ্ন রেখে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কার বিচার চান? আমি বলতে চাই, সরকারের এই খেলা নতুন নয়। তারা প্রতিটি ঘটনা সংগঠিত করে অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার জন্য ব্লেম গেম করছে।
মাহমুদুর রহমানের ওপরে হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এ হামলা শুধু মাহমুদুর রহমানের ওপর নয়, বাংলাদেশে যত সংবাদপত্র আছে, সে সকল সংবাদপত্রের সম্পাদকদের ওপরে এই আক্রমণ। এই আক্রমণ দেশের গণতন্ত্র ও যারা জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের বিশ্বাসী ৯০ ভাগ মানুষের ওপরে আক্রমণ। এই আক্রমণ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ও মানবিক অধিকার বিরুদ্ধে। সংবাদপত্রকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে, সেটা আরো বৃদ্ধি করার জন্য এ আক্রমণ।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানের ওপরে যখন হামলা করা হয়, ওই সময় পুলিশ দূরত্বে অবস্থান করছেন। মনে হচ্ছে, পুলিশ হামলাকারীদের সুযোগ করে দিচ্ছে। আবার হামলা শেষে ভিডিওতে দেখতে পেলাম, পুলিশের সেখানে উপস্থিতি। এ থেকে প্রমাণিত যে, ৪ ঘণ্টা ধরে ঢাকায় পুলিশ কেন্দ্রীয় প্রশাসনের লোকজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সহ সকল পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবিষয়ে অবহিত। এরপরও কিভাবে আক্রমণ হয়?
‘আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর নগ্ন হামলার প্রতিবাদ’ উপলক্ষে এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। এতে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মিয়া গোলাম পারোওয়ার, বিএনপি নেতা এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলােদেশ জার্নাল/কেএস/এনএইচ