বিশ্বে এ বছর এয়ারলাইন্সগুলোর আয় দাঁড়াবে ৩৩.৮ বিলিয়ন ডলার
এ বছর বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলোর আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ধরা হলেও তা কমে ৩৩.৮ বিলিয়নে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন। জালানি ও লোকবল খরচ বেড়ে যাওয়ায় এয়ারলাইন্সগুলোর আয় কমেছে। ৬ মাস আগে এয়ারলাইন্সগুলোর আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা করে বলা হয়েছিল তা ৩৮.৪ বিলিয়নে দাঁড়াবে। এখন তা আরো কমার কথা বলা হচ্ছে। স্ট্রেইট টাইমস
সিডনিতে এ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী ও পরিচালক আলেকজান্ডার ডি জুনিয়াক সোমবার এক সম্মেলনে বলেন, বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলোর আয়ে ধারাবাহিক লাভ শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। দ্রুত প্রসার হচ্ছে এমন একটি এয়ারলাইন্স এশিয়া-প্যাসিফিক এ বছর লাভ করবে ৮.২ বিলিয়ন ডলার এবং নর্থ আমেরিকান এয়ারলাইন্সের আয় দাঁড়বে একই সময়ে ১৫ মিলিয়ন ডলার যা এবছর অঞ্চলভিত্তিক হিসেবে সর্বোচ্চ হবে। এবছর বিমানে ভ্রমণ ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। গত বছর এ হার ছিল ৮.১ শতাংশ। আফ্রিকার পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলে মোটামুটি এয়ারলাইন্স ব্যবসা লাভজনক থাকবে।
এছাড়া এ বছর সারাবিশ্বে এয়ারলাইন্সগুলো ৪.৩৬ বিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করবে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৪.১ বিলিয়ন।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার দেশগুলোতে এয়ারলাইন্সগুলো চাঙ্গা থাকবে। বরং কিছুটা শিথিল হবে ইউরোপ ও আমেরিকায়। সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ার কানতাস এয়ারলাইন্স ব্যবসায় চাঙ্গাভাব বজায় রাখতে নুতন বিমান কিনছে। তবে প্রবৃদ্ধি উর্ধ্বমুখী থাকলেও এয়ারলাইন্স শিল্পকে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। উচ্চ হারে কর, ব্যয়বহুল প্রশাসন ও দুর্নীতি, অবকাঠামোগত ক্ষমতার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ও সংরক্ষণশীল নীতিমালা এয়ারলাইন্সগুলোকে প্রতিনিয়ত পিছনের দিকে টানে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য মতপার্থক্যে উত্তেজনা এয়ারলাইন্সগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সঙ্গে আছে জেট ফুয়েলের দরে প্রতিবছর ২৫ ভাগ হারে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি।