অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় হাজিরা পরোয়ানা (পিডব্লিউ) প্রত্যাহারের আবেদনও করেছিলেন তার আইনজীবীরা। আদালত সেটাও মঞ্জুর করেন।
আজ(সোমবার) রাজধানীর বকশিবাজারে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এ মামলার শুনানি ছিল আজ। মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়াকে আদালতে আনা হয়নি। এদিন কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে হাজির না করে প্রতিবেদন দেয়া হয়। এতে বলা হয়, খালেদা আজ শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
এ মামলায় রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। এ মামলায় তার জামিন হলেও অন্য মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকায় তিনি জামিনে মুক্ত হতে পারছেন না।