২০ ঘণ্টা অপেক্ষার পর…
নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন হুমাইরা, বাড়ি দিনাজপুরে। থাকেন রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায়। পরিবারের সবার সঙ্গে গ্রামে ঈদ উদযাপন করবেন। কিন্তু মহাসড়কে যানজট আর সংস্কার হওয়ায় ট্রেনই যেনো তার শেষ ভরসা। তাই ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো। কিন্তু টিকিট নামের সোনার হরিণ কি মিলবে?
রোববার দুপুর ১২টা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করছেন তিনি। এখানেই সেরেছেন ইফতার ও সেহরি। উদ্দেশ্য একটি টিকিট। ২০ ঘণ্টা অপেক্ষার পর সোমবার (৪ জুন) সকাল ৮টা ২ মিনিটে এলো সেই মাহিন্দ্রক্ষণ। মিলল তার সোনার হরিণ নামক সেই স্বপ্নের টিকিট।
এ বিষয়ে হুমাইরা বলেন, টিকিট হাতে পাওয়ার পর আর ২০ ঘণ্টার কষ্ট মনে নেই। আমার মনে হচ্ছে একটু আগে আমি লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। টিকিট হাতে পেয়ে প্রচণ্ড আনন্দ লাগছে।
পারভিন নামে অপর একজন জানান, তিনিও রোববার দুপুর ২টা থেকে টিকেটের জন্য কমলাপুর স্টেশনে অপেক্ষায় ছিলেন। স্টেশনেই ইফতার ও সেহরি খেয়েছেন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে তিনিও পেয়েছেন তার কাঙ্খিত টিকিট।
তিনি বলেন, অনেক অপেক্ষার পর টিকিট হাতে পেয়েছি। এখন আর কোনো কষ্ট মনে হচ্ছে না। অনেক ভালো লাগছে এই ভেবে যে, গ্রামে পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারব।
এদিকে কালোবাজারে টিকেট বিক্রি বন্ধ করতে পুরো স্টেশন আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিসি টিভিতে নজর রাখা হয়েছে যাত্রীদের ওপর। এছাড়াও দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্যরা। বাংলানিউজ