ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচুর ফলনে বিপর্যয়
তৌহিদুর রহমান নিটল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা বিজয়নগর ও আখাউড়া। আর ভৌগলিক কারণে জেলার অন্য সব উপজেলা থেকে মৌসুমী ফল লিচুর বাগান এখানে সবচেয়ে বেশী। এখানকার বাগানে উৎপাদিত লিচু জেলার গ-ি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে লিচু পিপাসু মানুষের কাছে বেশ প্রিয়। তুলনামূলক ভাবে অন্যসব বছর থেকে এবার এই দুই এলাকায় এ বছর লিচুর ফলন বেশ ভালো হয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে এসে ভারী বর্ষণে লিচুর বাকল ফেটে যাওয়ায় চাষিদের মনে হতাশার রেখা দেখা দিয়েছে।বাগানের মালিকরা জানান, কয়েক দিনের বৈরি আবহাওয়ার কারণে লিচুর ত্বক ফেটে যাচ্ছে। এতে ফলন কমার শঙ্কা না থাকলেও দাম কম পাবে চাষিরা।
এ কারণে বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এবছর বিগত কয়েক বছরের মধ্যে লিচুর ফলন বাগানে আশানুরূপ হয়েছে।বৃষ্টির পানিতে ভিজে লিচুর আকৃতি ছোট হয়ে কাল হয়ে যাচ্ছে। এতে বাগানের লিচুর অর্ধেক ফলন লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর যেসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা আগাম টাকা দিয়ে বাগানের লিচু কিনেছে তাদের মোটা অংকের লোকসান গুণতে হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলেন,অতি বৃষ্টির ফলে লিচুর পাল্প ( ভেতরের সাদা অংশ) দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
আরও : কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকে মারধর
কিন্তু বাইরের খোসা শক্ত থাকায় ফলের সুষম বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়ে তা ফেটে যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউপির ছতুরপুর ও বিষ্ণুপুর,সিঙ্গারবিল, পওন, মুকুন্দপুর ও পাহাড়পুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি লিচুর বাগান রয়েছে। অন্যদিকে আখাউড়া উপজেলার উত্তর ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নে বেশির ভাগ লিচুর বাগান রয়েছে। এই দুই উপজেলায় এক জরিপে লিচুুুর বাগান রয়েছে প্রায় ৪৫০/৫০০টির মত। স্থানীয় বাজারে এরই মধ্যে লিচু উঠতে শুরু করেছে। তবে এসব লিচু স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নয়। স্থানীয় লিচু উঠতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে। তবে বৈরি আবহাওয়ায় গাছের লিচু ফেটে যাওয়ায় কৃষকরা বেশ চিন্তিত।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়নভিত্তিক ‘স্কোয়াড’ গঠন করে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কথা হয় বেশ কয়েকজন বাগান মালিকের সাথে তারা বলেন, এবছর বিগত কয়েক বছরের মর্ধ্যে লিচুর ফলন বাগানে আশানুরূপ হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে লিচুর ত্বক ফেটে যাচ্ছে। এতে লিচুর আকৃতি ছোট হয়ে কাল হয়ে যাচ্ছে।
এতে বাগানের লিচুর অর্ধেক ফলন লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর যেসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা আগাম টাকা দিয়ে বাগানের লিচু কিনেছে তাদের মোটা অংকের লোকসান গুণতে হবে।