‘অভাবকেই ছুটি দিয়েছে আমার বোন’
ডেস্ক রিপোর্ট : তাঁদের মধ্যে কারো স্বামীর সংসারে তীব্র অভাব। কেউ বা স্বামী পরিত্যক্তা। সন্তান নিয়ে খেয়ে-না-খেয়ে দিনাতিপাত করতেন। তাঁদের ঘরে দু-মুঠো অন্ন নেই। নুন আনতে পান্তা ফুরায় দশা। মুখগুলো শুকনো, শরীরগুলো রোগক্লিষ্ট।
আরও : কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকে মারধর
এমন হাজারো নারী জড়ো হয়েছিলেন ইফতারসামগ্রী নিতে। রোজায় সন্তানদের মুখে একটু ভালো খাবার তুলে দেবেন—এমন আশায় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন তাঁরা। প্রতিটি প্যাকেটে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার ইফতারসামগ্রী পাওয়ার আশায় রবিবার রাত থেকেই হতদরিদ্র নারীদের বিপুল সমাগম ঘটেছিল সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা গ্রামের কাদেরিয়া মঈনুল উলুম দাখিল মাদরাসা মাঠে। তাঁরা ভেবেছিলেন—কত দিন একসঙ্গে ১০ কেজি চাল কিনতে পারিনি। সেই সঙ্গে পাঁচ কেজি ছোলা, চিনি, ডাল আর লবণ। আর কত কী ইফতারসামগ্রী! সবই একসঙ্গে পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে জুটবে একটি নতুন শাড়ি ও নগদ এক হাজার টাকা। এমন স্বপ্ন বুনে ইফতারসামগ্রী নিতে আসা নারীদের আশায় গুড়ে বালি। তাঁদের ১০ জন প্রাণ দিয়েই স্বপ্নের সমাধি রচনা করলেন। ইফতারসামগ্রী নিয়ে তাঁদের আর হাসিমুখে বাড়ি ফেরা হয়নি। সাদা ব্যাগে ভরে পুলিশ তাঁদের নিথর দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়ি পাঠিয়েছে।