পুতিনের পৃথিবী ধ্বংসের যন্ত্র এই ড্রোন সাবমেরিন!
অনলাইন ডেস্ক : পুজেইদন বা স্ট্যাটাস-৬। এটি রাশিয়ার মানুষবিহীন একটি পারমাণুবাহী ড্রোন সাবমেরিন। এই ড্রোন সাবমেরিনকে ‘পুতিনস ডুমসডে মেশিন’ নামেও ডাকা হয়। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়- পুতিনের পৃথিবী ধ্বংসের যন্ত্র। এই ড্রোন সাবমেরিন ব্যবহারের ফলে সমুদ্রে ৩০০ ফুট উঁচু সুনামি তৈরি হবে। ফলে সমুদ্র উপকূলবর্তী শহরগুলো মুহূর্তেই পানিতে ডুবে যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রলয়ঙ্করী জলোচ্ছ্বাস তৈরি করে শহরের পর শহর ধ্বংস করে দিতে পারে বলেই এটিকে এই নাম দেয়া হয়েছে।
গত মাসে স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণে পুতিন নিজেই এই সাবমেরিন নির্মাণের কথা স্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, পানির নিচে ৫০ মেগাটনের পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৩২০ ফুটের বেশি উঁচু জলোচ্ছ্বাস তৈরি করতে পারবে এই যন্ত্রটি।পুতিনের এই সাবমেরিন ছয় হাজার ২০০ মাইলে দূরে পর্যন্ত হামলা চালাতে পারবে। এর গতি ঘণ্টায় ৫৬ নটিক্যাল মাইল। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ডুবোজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতেও সক্ষম বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
পদার্থবিদ ও পারমাণবিক অস্ত্র গবেষক রেক্স রিচার্ডসন বলেন, এটি ২০-৫০ মেগাটনের যে পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে, তাতে ২০১১ সালের জাপানের সুনামি কিংবা তার চেয়েও আরও ধ্বংসাত্মক সুনামি তৈরিতে সক্ষম হবে। জাপানের সুনামিতে ১৬ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল।
রিচার্ডসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্র উপকূলে এই ডুবোজাহাজের পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করে তেজস্ক্রিয় বৃষ্টির মাধ্যমে লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান দিয়াগোর মতো শহরে ব্যাপক বিপর্যয় তৈরি করা সম্ভব।