এতে বলা হয়, ঢাকায় অব্যাহত ছাত্র বিক্ষোভের কথা জানাচ্ছে স্থানীয় সূত্রগুলো। বাংলাদেশের অন্যান্য শহরগুলোতেও এ ধরনের বিক্ষোভ হতে পারে।
সরকারি চাকরিতে বিশ্ববিদ্যালয় সনদধারীদের চাকরির সংখ্যা কমিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ক্যাটাগরিতে বরাদ্দ (কোটা) দেয়ার সরকারি নীতির প্রতিবাদে এসব বিক্ষোভ হচ্ছে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী কিছুদিন বিক্ষোভ অব্যাহত থাকতে পারে বিধায় মার্কিন নাগরিকদের সতকর্তা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
বিক্ষোভের প্রভাব স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থা, সেবাখাত, স্কুল, শপিং মল এবং প্রতিষ্ঠানসমূহে পড়তে পারে আবার না-ও পড়তে পারে। অতীতের বিক্ষোভগুলো সহিংতায় রূপ নিলে দীর্ঘসময় যান চলাচল ব্যাহত, আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা পাথর, ইটপাটকেল এবং ককটেল নিক্ষেপ করে থাকে। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ারশেল এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও রাবার বুলেট ব্যবহারসহ বিক্ষোভ দমনের অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।
তবে মার্কিন দূতবাসের কনস্যুলার শাখা যথারীতি চালু থাকবে বলে সতর্কবার্তায় বলা হয়।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার দাবিতে রোববার দুপুরে পূর্বঘোঘিত গণপদযাত্রা শেষে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৮টার দিকে তাদের ওপর পুলিশ চড়াও হলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী আহত হন। এছাড়া শতাধিক আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়।
কোটা সংস্কারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আগের মতো আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে মঙ্গলবার ঐক্যবদ্ধ ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘোষণা দেয় শুরু থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া কমিটি।
কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা আসতেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী ফের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকেন। নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাত ৯টা পর্যন্ত মিছিল আর স্লোগানে তারা গোটা ক্যাম্পাস মুখরিত করে রাখেন। সূত্র-পরিবর্তন