অন্ধ করা হাসপাতাল বন্ধ করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক : স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, চুয়াডাঙ্গায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করে ‘জীবন তরী’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২০ জন রোগীর চোখ অন্ধ করে দিয়েছে। এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য অচিরেই ওই হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না।
বুধবার রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে মডেল ফার্মেসি উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ওষুধ মানুষের জীবন বাঁচায়। কিন্তু দেশে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা দোকানে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া পৃথিবীর কোথাও ওষুধ বিক্রি হয় না। কিন্তু বাংলাদেশে হয়। এটা দ্রুত বন্ধ করতে হবে।
কোনোভাবেই যেন ফার্মেসিতে নকল, ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। দেশে এখন মডেল ফার্মেসি গড়ে উঠছে। এসব ফার্মেসির মান বজায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে ওষুধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে শিগগিরই দেড় হাজার ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধশিল্প অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা এখন ১৫০টা দেশে ওষুধ রফতানি করছি। দেশের ওষুধের চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। দাম কম হওয়ার কারণে আমেরিকার মতো দেশেও আমাদের ওষুধের চাহিদা রয়েছে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এমডি ওবায়দুল মোক্তাদির, ফার্মেসি কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোসাদ্দেক হোসেন, ওষুধশিল্প সমিতির মহাসচিব মো. শফিউজ্জামান, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মে. জে. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ওষুধশিল্প ক্রমেই উন্নতির দিকে যাচ্ছে। এখন আমাদের পর্যাপ্ত ফার্মাসিস্ট প্রয়োজন। তবে অবশ্যই তাদের হতে হবে উচ্চমানসম্পন্ন, গড়পড়তা মানের নয়। দেশে এখনো দেড় লাখ অনিবন্ধিত ওষুধের দোকান রয়েছে। যেখানে মান নিয়ন্ত্রণ না করেই যথেচ্ছভাবে ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দোকান ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে ফার্মাসিস্টদের মাধ্যমে ওষুধ বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে।