অ্যামাজনের ওপর চটেছেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের ওপর চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ অ্যামাজনের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ডাক বিভাগ। খবর সিএনএন, বিবিসি।
শনিবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ডাক ব্যবস্থাকে ডেলিভারিম্যান হিসেবে সস্তায় ব্যবহার করছে অ্যামাজন। প্রত্যেক প্যাকেজের জন্য ডাকবিভাগ কম খরচ রাখছে, যা এক ডলার ৫০ সেন্ট। যাতে শত শত কোটি ডলার লাভবান হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।’
তিনি বলেন, ‘ডাক বিভাগ যদি পার্সেল খরচ বাড়িয়ে দেয়, তাহলে অ্যামাজনের শিপিং খরচ বাড়বে ২৬০ কোটি ডলার। ডাক বিভাগের এ কেলেঙ্কারি অবশ্যই বন্ধ করা উচিত এবং আমাজনের প্রকৃত খরচ অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।’
সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে অ্যামাজন অনেক পার্সেল তাদের গ্রাহকদের কাছে পাঠিয়ে থাকে। এমনকি সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রোববারও অ্যামাজনের জন্য সেবা দেয় ডাক বিভাগ। তবে একসঙ্গে অনেকগুলো পার্সেল থাকায় অন্যসব গ্রাহকদের থেকে তুলনামূলক অনেক কম মূল্যে অ্যামাজনের পার্সেল ডেলিভারি করে ডাক বিভাগ।
তবে পার্সেল ডেলিভারির এই মূল্য কোনো পক্ষ প্রকাশ না করলেও ডাক বিভাগ বলছে যে, অ্যামাজনের সঙ্গে করা চুক্তি দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক।
এদিকে অ্যামাজন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যেগুলোকে সঠিক কর দেয় না বলেও অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অ্যামাজনের কারণে অনেক খুচরা ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
তবে অ্যামাজনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এমন অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও অ্যামাজনের তদবিরকারী হিসেবে ওয়াশিংটন পোস্টের সমালোচনাও করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের টুইটের কারণে উদ্বিগ্ন নিয়োগকারীরা। গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর কমেছে প্রায় তিন দশমিক তিন শতাংশ। এতে কোম্পানিটির বাজারমূল্য কমে গেছে প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বোজোসের বিবাদ চলে আসছে। বোজোস ২০১৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বিরোধিতায় সোচ্চার ছিলেন। এছাড়া বোজোস ওয়াশিংটন পোস্টেরও মালিক। ট্রাম্প নিয়মিত পত্রিকাটির সংবাদ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে আসছেন। তাই নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই ট্রাম্প অ্যামাজনের সমালোচনা করে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, অ্যামাজন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট দুইটি প্রতিষ্ঠানেরই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস।