মোট ২৩টি ইভেন্টে ৭১টি দেশের ৬,৬০০ ক্রীড়াবিদ অংশ নিচ্ছে এবার। বাংলাদেশ ছয় ডিসিপ্লিনে অংশ নিচ্ছে। ডিসিপ্লিনগুলো হলো- অ্যাথলেটিক্স, বক্সিং, শ্যুটিং, সাঁতার, ভারোত্তোলন ও কুস্তি। এই ছয় ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশের মোট ২৬ জয় প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছে। কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশের বহর ৩৭ জনের। কুস্তিবাদে অন্য পাঁচটি ডিসিপ্লিনের প্রতিযোগীরা ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছেছে। শ্যুটিং দল অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে সবার আগে। গেল ২৪ মার্চ ঢাকা ছাড়ে তারা। কুস্তির প্রতিযোগিতা ১২ ও ১৩ এপ্রিল। যে কারণে বাংলাদেশ কুস্তি দল অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাবে ৯ এপ্রিল।
এদিকে বাংলাদেশের যে পাঁচ দল অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে তারা কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন ভালোভাবে। তাই এখানে এসে খুব বেশি অসুবিধা হচ্ছে না। মনে হয় না কন্ডিশন খুব একটা প্রভাব ফেলবে।এসএ গেসমে সোনা জয়ী ভারোত্তোলনে ৫৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে অংশ নেবেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।
বাংলাদেশ ছয় ইভেন্টে অংশ নিলেও শ্যুটারদের নিয়ে প্রত্যাশাটা বেশি। এই ইভেন্ট থেকে সোনার পদকসহ একাধিক পদক এসেছে আগে। ১৯৯০ অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয় করেন আতিকুর রহমান ও আবদুস সাত্তার নিনি জুটি। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জেতেন আসিফ হোসেন খান। এছাড়া ২০০০ সালে মেলবোর্ন কমনওয়েলথ গেমস থেকে আসে দলগত রুপা। ২০১০ সালে দিল্লিতেও দলগততে ব্রোঞ্জ উপহার দেন শ্যুটাররা। সর্বশেষ ২০১৪ সালে গ্লাসগো গেমসে রুপা জেতেন শ্যুটার বাকী। এবার একাধিক পদকের আশার কথা জানিয়ে গেছেন শ্যুটাররা।
বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা
অ্যাথলেটিক্স: মেজবাহ আহমেদ, শিরিন আক্তার।
বক্সিং: মো. রবিন মিয়া, আল-আমিন।
ভারোত্তোলন: শিমুল কান্তি সিংহ, ফুলপতি চাকমা, মাবিয়া আক্তার সীমান্ত, জহুরা খাতুন নিশা, ফাহিমা আক্তার ময়না।
সাঁতার: আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাহমুদুন নবী নাহিদ, নাজমা খাতুন।
শ্যুটিং: আবদুল্লাহ হেল বাকী, রাব্বি হাসান মুন্না, আনোয়ার হোসেন, শোভন চৌধুরী, শাকিল আহমেদ, রিসালাতুল ইসলাম, সৈয়দা আতকিয়া হাসান, আরদিনা ফেরদৌস, আরমিন আশা, উম্মে জাকিয়া সুলতানা, শারমীন শিল্পা, সুরাইয়া আক্তার।
কুস্তি: আল আমজাদ, শিরিন সুলতানা।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন