যদি পারেন আরেকটি খান আতা বানিয়ে দেখান, বাচ্চুকে ফারুক
---
অনলাইন প্রতিবেদক : চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু কে বা কি বলেন তাতে আমার কোনো যায় আসে না। খান আতার মতো একটি গুণী মানুষকে তার গুণ প্রকাশ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
তার সাথে আমি অনেক কাজ করেছি। তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। তার মধ্যে যে দেশ প্রেম দেখেছি তা সত্যিই অভাবনীয়। তার কাজই তার প্রমাণ। তার মতো একটি মানুষকে আক্রমণ করে কথা বলা অনেক দুঃখজনক।
সম্প্রতি বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান পরিচালক ও অভিনেতা খান আতাউর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলে মন্তব্য করেন নাট্যজন ও মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ”খান আতাউর রহমানের ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবিটিকে নেগেটিভ চলচ্চিত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ফারুক আরও বলেন, ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবিটি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কথা বলেছে। এখানে দেখা গেছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একটি ছেলে দেশ স্বাধীন করে বাসায় গিয়ে দেখে, তার বাবা অসুস্থ।
চারিদিকে হাহাকার। অথচ বাহিরে এসে দেখে এক শ্রেণির মানুষ চোরা কারবারি করে গাড়ি, বাড়ি বানিয়ে ফেলেছে। এখন তার প্রশ্ন, এরা কারা। আমরা অনেক কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করেছি। অথচ আমাদের কেন এই দুরাবস্থা। তখন তারা অস্ত্র জমা দেয় না।’
”বাচ্চু সাহেব এমন অবস্থা কখনও দেখেছেন কিনা আমার জানা নাই। তিনি তো সুখে ছিলেন, সুখেই আছেন। খান আতার মতো একটি মানুষকে কে না চিনেন। সব শ্রেণির মানুষরা তাকে ভালোবাসেন। আমার প্রশ্ন হলো, বাচ্চু সাহেব আপনি যে খান আতাকে বললেন, ‘আগে তুই মানুষ হ’। আপনার মধ্যে কি এতটুকু আদব কায়দা নেই- একজন মৃত, সিনিয়র, গুণী মানুষকে কি করে সম্বোধন করতে হয়?”
নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু উদ্দেশ্য করে চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, ”আপনি বলেছেন ৫০ জনের রাজাকারের তালিকায় খান আতার স্বাক্ষর আছে। প্রকৃত পক্ষে ওই তালিকা ছিল ৫৫ জনের। তাহলে বাকি পাঁচজনকে অন্য পকেটে রাখলেন কেন? তারা কারা আমরা সবাই তা জানি। তখন পাকিস্তানি সরকার বাঙালি মেধাবীদের বিপদে ফেলে রাজাকারের তালিকায় জোর করে স্বাক্ষর নিয়েছিল। খান আতাও তাদের মধ্যে একজন। নিজের ও পরিবারের জীবন বাঁচাতে তিনি বাধ্য হয়ে এই স্বাক্ষর করেছিলেন। বাচ্চু সাহেব আপনি দেশের জন্য কি করেছেন, কতখানি করেছেন, আগে তা ভাবেন। তারপর এই সব কথা বলুন। ”
ফারুক প্রশ্ন রেখে বলেন, ”দেশ স্বাধীনের ৪৬ বছর পর কার ইঙ্গিতে খান আতাকে হেয় করে এই সব কথা বলছেন। এটি ঠিক না। যদি পারেন আরেকটি খান আতা বানিয়ে দেখান। দুই একটি সিনেমা বানিয়ে কখনো ‘আবার তোরা মানুষ হ’ বা ‘সিরাজউদ্দৌলা’র খান আতা হওয়া যায় না। কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফারুকের মুখ বন্ধ রাখতে পারবেন না। ” বিডি-প্রতিদিন