g মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনে নতুন করে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি ও চাতালকল | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০১৭ ইং ২৫শে কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনে নতুন করে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি ও চাতালকল

AmaderBrahmanbaria.COM
অক্টোবর ৪, ২০১৭
news-image

---

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনে নতুন করে ভাঙছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের পানিশ্বর গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা। গত কয়েক বছরে ভাঙ্গনের মুখে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে এখানকার বাড়ি-ঘর ও চাতালকলসহ নানা ব্যবসায়িক স্থাপনা। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের ভিটেবাড়িসহ ব্যবসা প্রতিস্ঠান হারিয়ে অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে ব্যাংক ঋনসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে নেয়া মোটা ঋণের চাপে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। গত কয়েকদিন আগের ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৫/৭ টি চাতালকলসহ বেশ কয়েকটি বসত বাড়ি। কিন্তু এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় কোন উদ্যোগ না নেয়ায় আবারো নতুন করে ভাঙ্গনে পড়েছে দু’পাড়ের মানুষ। গত ৫ দিনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে মেসার্স তিনতারা অটোরাইস মিল, মেসার্স রহমানিয়া অটোরাইস মিল, মেসার্স খাজা অটোরাইস মিলসহ আরো ৫/৭টি বসত বাড়ি।

সরজমিনে দেখা যায়, মেঘনার তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে উপজেলার পানিশ্বর গ্রাম। এখানে রয়েছে প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ বাজারে রয়েছে প্রায় ২শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গ্রামটির জনবসতি প্রায় ২০ হাজারের মতো। প্রতি বছরই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে গ্রামের আয়তন। ঘর-বাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে প্রতিনিয়তই নিঃস্ব হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দারা।

কথা হয় ভাঙ্গনের মুখে ক্ষতিগ্রস্থ চাতালকল মালিক উসমান গনি ও চান মিয়া সহ কয়েক জনের সাথে, তারা বলেন, নদী ভাঙ্গনে নি:স্ব হয়ে যাচ্ছি আমরা বেকার হয়ে পড়েছে অসংখ্য চাতাল শ্রমিক। যদি অতি শীঘ্রই এ ভাঙ্গন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়া হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসত বাড়ি এমনিক উপজেলার মানচিত্র থেকে পানিশ্বর গ্রামটি চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে।

 

ব্রাক্ষনবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল্লা জানিয়েছেন ভাঙ্গন স্থানে স্থায়ী প্রতিরক্ষা মূলক ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ নির্মানের ডিপিপি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

ব্রাক্ষনবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা জানিয়েছেন, গ্রামগুলোকে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য আমি সংসদে পানি সম্পদ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছি। নদী শাসনে আশুগঞ্জ থেকে পাকশিমুল পর্যন্ত নদী ভাঙ্গ রোধে স্থায়ী বেরিবাধের জন্য প্রয়োজনীয ব্যবস্তা করার প্রক্রীয়া চলছে। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য আমি ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি।

 

এ জাতীয় আরও খবর