টালিউড তারকাদের দূর্গাপূজার প্রস্তুতি
---
বিনোদন ডেস্ক : ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। চারদিকে দুর্গাপূজার গন্ধ ছুটেছে। বাঙালি নারীরা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি কিনে প্রস্তুত। বাঙালি হিন্দুদের মহোৎসব দুর্গাপূজার যে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ভারতে কলকাতায় এই পূজার সময়টা থাকে সবচেয়ে জমজমাট। উৎসবের আমেজ পাওয়া যায় সবখানে। আর তারকা মহলে এই উপলক্ষে মেলে কয়েক দিনের ফুরসত। কয়েক দিনের জন্য কাজকে ছুটি দিয়ে, তারকারাও মাতবেন উৎসবের আনন্দে। টালিগঞ্জের তারকারা পূজায় কে কী করবেন, তা-ই থাকছে এই প্রতিবেদনে।
এবার পূজা পরিক্রমাতেই বেশি ব্যস্ত থাকবেন অভিনয়শিল্পী আবির চ্যাটার্জি। এ ছাড়া কলকাতার বিখ্যাত সব পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখার পরিকল্পনা আছে তাঁর। আর কেনাকাটার বিষয়টা নিয়ে তিনি মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না। আবিরের ভাষায়, ‘এটি আমার স্ত্রীর ডিপার্টমেন্ট।’ অষ্টমীর দিনটি আবির তুলে রেখেছেন পরিবারের জন্য। আর নবমী কাটাবেন বন্ধুদের সঙ্গে। ব্যস্ততার কারণে সারা বছর বন্ধুদের সঙ্গে তেমন একটা দেখা-সাক্ষাৎ হয় না। তাই পূজার একটি দিন মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজ সারবেন বন্ধুদের নিয়ে। এরপর ধুমিয়ে আড্ডা দেবেন। তা ছাড়া পূজায় বেশ কয়েকটি ছবিও মুক্তি পাচ্ছে এবার। সেসব দেখারও পরিকল্পনা আছে এই তারকার।
দুর্গাপূজার পাঁচ দিন ভবানীপুরের বাড়িতে থাকবেন নায়িকা কোয়েল মল্লিক। সেখানে তাঁদের বাড়িতেই পারিবারিক পূজার আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর পরিবারের সঙ্গে অনেক মজা করেন কোয়েল। কাজিনরা মিলে রাত জেগে গল্প-গুজব করবেন বলেও জানান। আর খাবেন পেটপুরে। কোয়েল জানান, তাঁর পূজার কেনাকাটা শেষ। কিন্তু তাঁর মা এখনো সবার জন্য কিছু না কিছু কিনেই যাচ্ছেন। পূজা এলেই একটি মধুর ঝামেলায় পড়ে যান কোয়েল। আলমারি ভর্তি শাড়ি তাঁর। কিন্তু রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ব্লাউজের বড় অভাব। এ জন্য প্রতি পূজাতেই বোনের কাছ থেকে ব্লাউজ ধার করতে হয়। ‘পূজার সময় বলতে গেলে আমরা ঘুমাই না। সারা দিন মজা করে কাটিয়ে দিই। ব্যস্ততার মাঝে এক ফাঁকে নর্দান পার্কের পূজা দেখতে যাব। এই মণ্ডপের সঙ্গে আমার শৈশবের অনেক স্মৃতি বিজড়িত।’ বলেছেন কোয়েল মল্লিক।
কলকাতার ছোট পর্দার তারকা যশ দাশগুপ্তও দুর্গাপূজা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। বাঙালি হিসেবে এই পূজার পুরো মজাই ভোগ করতে চান তিনি। এ সময় কলকাতার বাইরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই তাঁর। যশ বলেন, ‘আমি আমাদের এলাকার পূজাতেই অংশ নেব। আর সবাইকে নিজের হাতে প্রসাদ খাওয়াব।’ এমনিতে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুব সচেতন এই নায়ক। তবে পূজার সময় নিজের ডায়েট চার্টকে একটু ফাঁকি তো দেওয়াই যায়। যশের অষ্টমী শুরু হবে লুচি আর মাংস খেয়ে। আর মাঝরাতে কলকাতা শহরের সব মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে দেখার পরিকল্পনা আছে তাঁর। যাত্রাপথে সুযোগ পেলেই চেখে দেখবেন রাস্তার ধারের পানি পুরি আর অন্যান্য খাবার।
শ্রাবন্তীর দুর্গাপূজার পরিকল্পনা খুব সহজ-সরল। পূজায় তিনি শাড়ি পরবেন, সুন্দর করে সাজবেন, কবজি ডুবিয়ে খাবেন, ইচ্ছামতো ঘুমাবেন আর আড্ডা দেবেন ফাটিয়ে। কিন্তু এই তারকাকে এবার পঞ্চমী পর্যন্ত ছবির শুটিং নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হবে। এরপরই শুরু হবে তাঁর সত্যিকারের পূজার ছুটি। শ্রাবন্তী জানান, এখনো পূজার ছুটি শব্দটি শুনলে উত্তেজনায় তাঁর লোম দাঁড়িয়ে যায়। আর তখন তিনি ফিরে যান স্কুলে পড়ার দিনগুলোতে। এবার পূজার হেঁশেলেও কিছু সময় কাটানোর পরিকল্পনা আছে এই নায়িকার। এ জন্য একটি রান্নার বইও নাকি কিনেছেন। বন্ধু আর পরিবারের লোকদের পূজায় পছন্দের কয়েকটি পদ রেঁধে খাওয়াবেন। তা ছাড়া ছেলের সঙ্গে প্রচুর সময় কাটাবেন এ সময়। -টাইমস অব ইন্ডিয়া।