বাঞ্ছারামপুরে পরিত্যক্ত শ্রেণিকক্ষ চলছে পাঠদান, ঘটতে পারে দূর্ঘটনা
---
বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি : বাঞ্ছারামপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সে জরাজীর্ণ পরিবেশে চলছে পাঠদান, নেই পর্যাপ্ত শ্রেণি কক্ষ। বিদ্যালয়টি কয়েকটি কক্ষের মর্ধ্যে ৪র্থ শ্রেনীর ক-খ শাখার কক্ষটি খুবই নাজুক অবস্হা। আনুমানিক ১৫০ জনের উপরে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো অতি ঝুকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাশ করছে।
জানা গেছে, দিন কয়েক আগে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে।এ জন্যই বৃষ্টি হলেই শ্রেনীকক্ষে ভেসে যায় চুইয়ে-চুইয়ে পড়া পানিতে।এতে ব্যাহত হচ্ছে পঠন পাঠন। অবিলম্বে ভবন সংস্কারের দাবি জানিয়েছে বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকার দুই গ্রামবাসী।
বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ৭শত ৯৪ জন। স্বাধীনতার আগে ১৯৪৮ সালে স্কুলটি চালু হয়।২০০৯ সালে স্কুলটির পুরনো ভবন গুলোকে সরকারিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়। স্কুলটির পুরনো কক্ষের ৫ টি ঘরের দু’টিতে প্রথম এবং বাদবাকীগুলোতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস হয়। জায়গার অভাবে প্রতিদিনই প্রথম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা দাড়িয়ে ক্লাশ করে।শিশুদের ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লাশে দাড়িয়ে থেকে কি লিখবে কি শিখবে আর দাড়িয়ে থাকাটা কতোটা কষ্টকর,যখন গাদা-গাদা বই-খাতা থাকে হাতে। স্কুলের নতুন ভবনের একটি মাত্র ঘরে একসঙ্গে পঞ্চম ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পুরনো ভবনের দু’টি শ্রেণিকক্ষ ঘরের ছাদের পলেস্তারা প্রায়ই খসে পড়ে। বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে জল পড়ে ঘরও ভিজে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দায়সারা ভাবে নয়, আমূল সংস্কার করা হোক স্কুলের পুরনো ভবনটি। কারণ পুরনো ভবনের বাকি দু’টি শ্রেণি কক্ষেরও একই অবস্থা। যে কোনও সময় পড়ুয়াদের মাথায় ছাদ ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ভয়ে থাকেন অভিভাবকরাও। বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমস্যার কথা উর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মীর রফিকুল ইসলাম।
বাঞ্ছারামপুর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নওশাদ মাহমুদ বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি।স্কুলটি যে পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে সে-টিও জানি।কিন্তু স্কুলটির জায়গার অভাব।পুরনো ভবন মেরামতের জন্য কিছু করা যায় কি-না দেখছি।”