বন্যা কবলিত এলাকায় তীব্র গো খাদ্যের সংকট : বাধ্য হয়ে খামারিরা কম দামে গরু বিক্রি করছেন (ভিডিও)
---
বন্যা কবলিত এলাকায় তীব্র গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। কোরবানির গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা। কোনো মতে জীবন রক্ষা হলেও দানাদার খাদ্যের অভাবে রুগ্ন হয়ে পড়ছে গরুগুলো। ঈদে মুনাফার আশা ছেড়ে আগে ভাগেই স্বল্প দামে গরু বিক্রি করছেন অনেকেই। এই সুযোগে তৎপর হয়ে উঠেছে দালাল চক্র।
ভুক্তভোগীদের একজন বলেন, কোনো রকম উঁচু যায়গায় গরুগুলো রেখছি। কিন্তু গরুর খাবার পাচ্ছি না। খাবারের অভাবে গরুগুলো রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে।
সাধারণত কোরবানির হাটে বিক্রির জন্যে প্রতিটি ঘরেই দু-চারটা করে গরু পালন হয়ে থাকে। বন্যায় গো খাদ্য সংকটের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নানা রোগ বালাই। কৃষক এখন গরু বিক্রিও করতে পারছে না, ধরেও রাখতে পারছে না। ব্যাপারিদের দেখা না মিললেও দালাল ঘুরছে সবযায়গায়। এদের কাছে বাধ্য হয়ে কমদামে অনেকেই গরু বিক্রি করে দিচ্ছে অনেকে।
একজন কৃষক বলেন, আমার একটা গরু আছে যেটা ৬০-৭০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করা যেত, এখন বন্যায় খাওয়াতে না পেরে গরুর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গেছে। কেউ চল্লিশ হাজার টাকা বললেও গরুটা বিক্রি করে দিব।
অন্যদিকে যারা মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে গরু মোটা-তাজাকরন প্রকল্প খামার করেছে সেই খামারিদের অবস্থা আরো করুন। এক সপ্তাহে পশু খাদ্যের দাম দ্বিগুন হয়েছে। দাম পাওয়ার আশায় শেষ পর্যন্ত গরু রেখে দিতে চান তারা।
একজন খামারি বলেন, ঈদে ভালো দাম না পেলে ঈদের পরে গরু বিক্রি করবো।
দুর্গতদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকায় ফরিয়া চক্রকে ঠেকাতে মাঠে নেমেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।
গাইবান্দা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাইরের ব্যবসায়ীদেরকে আসতে না দিয়ে নিজেরাই সিন্ডিকেট করে কম দামে গরু কিনার চেষ্টা করছে। এই কাজ যেন কেই করতে না পারে এজন্যে আমরা মাঠে নেমেছি।
দেশে অন্তত পাঁচ লাখ নিবন্ধিত খামার অছে। এসব খামারে কোরবানির জন্যে ১কোটি ১৫ লাখ ৫৭ গরু, মহিষ ও ছাগল পালন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
যমুনা টিভি থেকে নেয়া