g জঙ্গি সাইফুলের সঙ্গে সহযোগীরাও ছিল : ডিএমপি কমিশনার | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ১৯শে আগস্ট, ২০১৭ ইং ৪ঠা ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

জঙ্গি সাইফুলের সঙ্গে সহযোগীরাও ছিল : ডিএমপি কমিশনার

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ১৬, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে জঙ্গি সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আরও কয়েক সহযোগী ছিল। ঘটনাস্থলের আশপাশে এদের অবস্থান ছিল। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া এ তথ্য জানান।

আজ বুধবার দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘শব্দ দূষণ ও হাইড্রলিক হর্ন বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে জঙ্গি সাইফুলের সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর সহযোগীদের ধরতে গোয়েন্দারা কাজ করছেন।

সাইফুল নব্য জেএমবির সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিহত সাইফুল নব্য জেএমবিতে সদ্য যোগদান করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁকে ইত্তেহাদী হামলার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছিল। হোটেল ওলিওর ব্যবস্থাপকের কাছ থেকে সাইফুলের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। তাই কম সময়ের মধ্যেই তাঁর পরিচয় জানা গেছে।

ডিএমপি কমিশনার দাবি করেন, বাংলাদেশে বড় কোনো জঙ্গি হামলা বা নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি নেই। এরই মধ্যে নব্য জেএমবি ও আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সাংগঠনিক সক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে। দেশে বড় কোনো নাশকতা ঘটানোর কোনো শক্তি নেই এদের। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটি ঘটনা ঘটাতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের চতুর্থ তলায় পুলিশের ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’ নামের জঙ্গি অভিযানের সময় মারা যান সাইফুল ইসলাম।

অভিযান শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, অপারেশনের সময় সাইফুল তাঁর শরীরে বাধা সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয়। ২১ বছর বয়সী সাইফুলের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায় সাহস ইউনিয়নের নোয়াকাটি গ্রামে। তাঁর বাবা আবুল খায়ের মোল্লা নোয়াকাটির মাঠের হাট মসজিদের ইমাম। আবুল খায়েরের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সাইফুল সবার বড়। পাইকগাছার একটি মাদ্রাসা থেকে হাফিজি পাস করেন তিনি। খুলনার বিএল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন সাইফুল। পড়াশোনার জন্য খুলনার একটি মেসে থাকতেন তিনি।

এ জাতীয় আরও খবর