g বাঞ্ছারামপুরে গো খাদ্যের দামবৃদ্ধি কারন : বন্যা ও কোরবানীর ঈদ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ১৮ই আগস্ট, ২০১৭ ইং ৩রা ভাদ্র, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে গো খাদ্যের দামবৃদ্ধি কারন : বন্যা ও কোরবানীর ঈদ

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ১৫, ২০১৭

---

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা কে সামনে রেখে ও বন্যার আগাম বার্তা পেয়ে গবাদি পশুর খাদ্যের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। সারা বছর গো-খাদ্যের চাহিদা কম বেশী থাকলেও কোরবানির ঈদ আসার আগে ধানের কুঁড়া,বিভিন্ন ধরণের ভুষি, ভুট্টা, ডালের ছোবলা জাতীয় গো-খাদ্যের চাহিদা বাড়ে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এসব উপাদানের দামও।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সারা বছর গো-খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও কোরবানি ঈদ আসার আগে গো-খাদ্যের দাম বাড়ে। কারণ এই সময়ে দেশের বাইরে থেকে নানা ভাবে বৈদেশিক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে পশুর আমদানি বাড়ে। তাছাড়া এবার উত্তরাঞ্চলসহ দেশব্যাপী বন্যার কারণে গবাদিপশুর খাদ্যের কিছুটা সংকট দেখা গেছে। আর এতে করে দফায় দফায় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ায় এর দাম বাড়ছে।বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত জুন মাসের পর থেকেই ক্রমান্বয়ে বেড়েছে পশু খাদ্যের দাম।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার মওলাগঞ্জ (বড়বাজার) বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি বস্তা ভুষির (১৮ কেজি) দাম ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা টাকা। জুলাই মাসে ৬২০ টাকা এবং জুন মাসে এই ভুষি বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকায়।
গত জুনে আটাকুঁড়ার বিক্রয়মূল্য ছিল প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ৭০০ টাকা, জুলাইতে ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছিল ৯০০ টাকা। বর্তমানে এই আটাকুঁড়ার বাজার দর চলছে ১০৩০ থেকে ১০৮০ টাকা।
পাতা ভুষি গত জুনে প্রতি বস্তা ( ৩৫ কেজি) বিক্রি হয়েছিল ৭৮০ টাকায়। জুলাইতে বিক্রি হয়েছিল মান ভেদে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। বর্তমান এই ভুষির বাজার দাম চলছে ১ হাজার ৫০ টাকা।

এদিকে মোটা কুড়া প্রতি বস্তা (৩৫ কেজি) জুনে ৩২০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ টাকা। চিড়া কুঁড়া প্রতি বস্তা (৪৫ কেজি) জুনে ৫৪০ টাকা, জুলাইতে ৬০০ টাকা হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ টাকা দরে।এদিকে মুগডালের ছোবলার ভুষি প্রতি মণ ( ৩৭ দশমিক ২০ কেজি) জুনে ৯২০ টাকা, জুলাইয়ে ১০৩০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে এই ভুষির বাজার দর ১ হাজার ১৩০ টাকা। মুসুরি ডালের ছোবলার ভুষি জুন মাসে ৭০০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮৪০ টাকা। সয়াবিনের খৈল ২ মাস আগে ৩২ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকার মধ্যে।

এ জাতীয় আরও খবর