আরো ৫৮ শব্দসৈনিকসহ ২৫৩ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান চরমপত্রের উপস্থাপক এম আর আকতার মুকুল, চলচ্চিত্রকার সুভাস দত্ত, কণ্ঠশিল্পী তিমির নন্দী ও ফকির আলমগীরসহ একাত্তরের ৫৮ জন শব্দসৈনিককে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৪৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী এবং মুক্তিযুদ্ধকালে গঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠনের এই শব্দসৈনিকদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সোমবার আদেশ জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর ১০৮ জন শব্দসৈনিককে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত মোট ২৫৩ জনকে এই স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। একাত্তরে বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনায় এই শব্দসৈনিকদের গড়ে তোলা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ দেশের মুক্তিকামী মানুষকে ৯টি মাস প্রেরণা যুগিয়েছে।
১৯৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে ১০ জন সাহসী সৈনিকের উদ্যোগে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। ৩০ মার্চ সেখান থেকেই প্রথমবারের মতো শোনা যায় জয় বাংলা, বাংলার জয়। ওই দিন দুপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় এ বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
কালুরঘাটের পতনের পর শব্দযোদ্ধাদের দুটি দলের চেষ্টায় আগরতলা ও ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গা থেকে বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হয়। ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হওয়ার পর ভারত সরকারের সহায়তায় কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে সম্প্রচার শুরু করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিকদের কণ্ঠ যুদ্ধ চলে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত।