ব্যবহৃত অন্তর্বাস বিক্রির ব্যবসা জমজমাট
---
নিউজ ডেস্ক : অন্তর্বাস ফেটিশদের (এমন ধরনের যৌন চাহিদা যার তৃপ্তি কোনো নিদৃষ্ট অঙ্গ কিংবা পোশাকের সঙ্গে জড়িত) যৌনাকাঙ্খা মেটাতে পশ্চিমা দেশগুলোতে এরই মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ব্যবহৃত অন্তর্বাস বিক্রির ব্যবসা। অনেকেই এ অন্তর্বাস বিক্রি করে মাসে প্রায় লাখ টাকা পর্যন্তও আয় করছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যম রিফাইনারি।
প্রতিবেদনে ভায়োলেট (ছদ্মনাম) নামের এক নারীর কথা বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ভায়োলেট প্রথমে নিজের বাড়ির পাশের একটি বারে অন্তর্বাস বিক্রি করেছিলেন । সেখানে এক ব্যক্তির কাছে ৬০ ডলারের বিনিময়ে নিজের ব্যবহৃত অন্তর্বাস বিক্রি করেন ভায়োলেট। অন্তর্বাস পুরোন হলেও বেশ দাম পেয়েছিলেন।
এরপর থেকে এ ব্যবসায় বেশ আঁটসাট বেঁধেই নামেন। এখন সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারও ক্রেতাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা পাওয়া ও লাভজনক হওয়ায় দিনদিন প্রসারিত হচ্ছে এ ব্যবসা।
এই ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত জিঙ্গার (ছদ্মনাম) নামের অপর এক নারী বলেন, ২০১৫ সালে এক ব্যক্তি ইনস্টাগ্রামে তাকে নক করে বলেন, আপনি দেখতে খুবই সুন্দর। আপনি আপনার মোজা কিংবা অন্তর্বাস বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।
ওই ব্যক্তি প্রথমে জিঙ্গারের মোজা ও অন্তর্বাস ক্রয় করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে দুজন মিলেই নামেন এ ব্যবসায়।
এই ব্যবসাকে খুবই প্রতিযোগিতামূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি প্রথমে কিছুদিন আমার ম্যানেজার ছিলেন। কিছু ছবি কিংবা মোজার বিনিময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি আমার জন্য একটি পেজ চালাতেন এবং এগুলো কিনতে আগ্রহীদের আমার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেন।
তবে গত এক বছর ধরে স্বাধীন ভাবেই ব্যবসা করছেন জিঙ্গার।
তিনি বলেন, ব্যবসা ক্রমশই প্রসারিত হচ্ছে এবং তার ক্রেতাদের প্রত্যেকেরই চাহিদার ভিন্নতা রয়েছে।
পুরাতন অন্তর্বাস ক্রেতাদের সিংহ ভাগই পুরুষ বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। তবে অন্তর্বাস ফেটিশ পুরুষদের মধ্যে যে শুধু নারীর প্যান্টিরই চাহিদা রয়েছে তা নয় বরং প্যান্টি ও মোজা থেকে শুরু করে নারীদের সকল ধরনের অন্তর্বাসের চাহিদাই লক্ষ্য করা যায় তাদের মাঝে।