নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে আহ্বান খালেদা জিয়ার
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : আবার একটি অবাধ নির্বাচনের জন্য ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘মারামারি-কাটাকাটি বাদ দিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যাতে সব দল অংশগ্রহণ করবে, সবাই সমান সুযোগ পাবে। এটি করলে হয়তোবা জনগণ আপনাদের ক্ষমা করতে পারে।’
শনিবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া এ সব কথা বলেন। এ সময় তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্তত এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। যাতে মানুষ নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে। এর আগেও সোনাবাহিনী এ দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু এখন তারা সেনাবাহিনী চান না, কারণ চান না মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিক। এ সময় তিনি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই আওয়ামী লীগের সময়ে স্থানীয় সরকার বলেন, কোনো জায়গায় ভোট হয়নি।
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের সাড়ে ৫০০০ কোটি টাকার জমার কথা উল্লেখ করে বিএনপির চেয়ারপারসন ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে বলেন, ‘সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকাগুলো কার। এর নাম-ধামগুলো জানতে চাই। উন্নয়নের নামে কত টাকা পাচার করেছেন, সুইস ব্যাংকে রাখছেন জানা দরকার। এটা দেশের উন্নয়ন নয়, নিজেদের উন্নয়ন।’
আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তারা যেভাবে দুর্নীতি করেছে, ব্যাংকগুলো শেষ করে দিয়েছে। পত্রিকায় দেখলাম, দেশে ৫০ হাজার নতুন কোটিপতি হয়েছে। এঁরা সবাই আওয়ামী লীগের।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চ মূল্যের জন্য সরকারের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, দ্রব্যমূল্য সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। চালের দাম এখনো বাড়ছে। দেশি-বিদেশি কোনো বিনিয়োগ নেই। তাই দেশে কোনো কর্মসংস্থান নেই।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, খোন্দকার মাহবুব হোসেন ও শওকত মাহমুদ প্রমুখ।