সোমবার, ৩রা জুলাই, ২০১৭ ইং ১৯শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

‘সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হচ্ছে’

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ২৯, ২০১৭

---

চালের বাজারে অস্থিরতাকে ‘কৃত্রিম সংকট’ দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানি করছি। ইতিমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে ২৫০ মেট্রিক টন চাল এবং অন্য দেশ মিলে মোট সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল পাইপলাইনে আছে। এ ছাড়া চাল আমদানির ওপর থেকে ট্যাক্সের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে বলা যায় শিগগিরই চালের দাম কমবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বরাদ্দকৃত খরচের মঞ্জুরি দাবির প্রস্তাবে আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমদানি হলে আমরা চালের কল ও মালিকদের সঙ্গে দামের বৈষম্যের কারণে চুক্তি করতে পারিনি। বর্তমানে মজুদ একটু কম। এটা আমি স্বীকার করি। সরকারের দাম আর বাজার দামের মধ্যে ফারাক থাকায় মে-জুন পর্যন্ত যে পরিমাণ চাল মজুদ থাকার কথা সেটা নেই।

তিনি বলেন, মে-জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল আমাদের ঘরে আসত। যদি চালের দাম বৃদ্ধি না পেত? সরকারের মূল্য আর বাজার মূল্যের মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটা যদি না থাকত। তাহলে এই দুই মাসে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল আসত। কিন্তু আমার ঘরে আছে মাত্র ৪-৫ হাজার মেট্রিক টন। আশা করি, আগস্টের মধ্যে ৩-৪ লাখ টন চাল আমাদের চলে আসবে। এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের মজুদ ছিল সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন।

পচা গম আমদানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাকে ঘিরে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, আমি বলতে পারি, অতীতে সাড়ে ১০ মাত্রার প্রোটিনের গম বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে। যে গম বিদেশে, বিদেশিরাই খাওয়ার জন্য ব্যবহার করেন না। সেই গম বাংলাদেশে এসেছে। কিন্তু আমি গত এক বছর ধরে বাংলাদেশ সাড়ে ১২ মাত্রার প্রোটিনের গম আমদানি করেছি। এবার চাল আমদানির ক্ষেত্রেও উন্নত মানের চাল সংগ্রহ করছি। সাড়ে ১২ মাত্রার প্রোটিনের বাইরে কোনো গম বাংলাদেশে আমদানি করব না এটা আমরা জানিয়ে দিয়েছি।

-নিজস্ব প্রতিবেদক