সোমবার, ১৯শে জুন, ২০১৭ ইং ৫ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণাঞ্চলের টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় নেই সদরঘাটে

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ১৬, ২০১৭
news-image

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম টিকিট নিতে রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। নৌ পথে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) থেকে লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

শুক্রবার টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিন সদরঘাটে গিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি বেশির ভাগ লঞ্চের টিকিট কাউন্টারও বন্ধ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন লঞ্চের টিকিট কাউন্টারে তেমন কোনো ভিড় নেই। অনেক কাউন্টারও তালাবদ্ধ ছিল। দু’য়েকজন যারা এসেছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে টিকিট কেটে বাড়ি ফিরছেন।

অথচ টিক উল্টো চিত্র রাজধানীর কমলপুর রেলওয়ে স্টেশন ও গাবতলী বাস টার্মিনালে। আগাম টিকিট পেতে এখনও প্রায় ‘যুদ্ধ’ করছেন বাড়ি যাওয়ার টিকিটের জন্যে। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে কেউ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার ‘সোনার হরিণ’ প্রত্যাশিত টিকিটটি পেলেও বেশির ভাগ মানুষকেই নিরাশ হতে হচ্ছে।

কেউ কেউ আবার পরিচিত কিংবা কালোবাজারে বেশি দামে বাড়ি যাওয়ার ট্রেন-বাসের টিকিট সংগ্রহ করছেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতবছরের মতো এবারও মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই অধিকাংশ টিকিট কেটেছেন যাত্রীরা। আবার কেউ কেউ নিয়মিত রুটে চলাচল করায় স্টাফদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হওয়ায় তাদের মাধ্যমে ম্যানেজ করে রেখেছেন ঘরে ফেরার টিকিট।

সবমিলিয়ে আগাম টিকিট বিক্রির সূচি ঘোষণা করলেও কখনই সরদঘাটে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় না ঘরমুখো মানুষের। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

তাই টার্মিনালে অবস্থিত লঞ্চের কাউন্টারগুলোর বেশিরভাগই আজ তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে। দুপুরে মাত্র দু’টি কাউন্টার খোলা থাকতে দেখা গেছে।

কাউন্টারগুলোতে দায়িত্বরতরা বলছেন, শনিবার (১৭ জুন) থেকে ক্রমান্বয়ে কয়েকটি কাউন্টার খোলা হতে পারে। মূলত এই রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে আদিকাল থেকেই লঞ্চে উঠার পর টিকিট ক্রয়ের সংস্কৃতি চালু রয়েছে। তাই আগে ভাগে টিকিট কাটতে আসেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লঞ্চের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে অনেকেই টিকিট সংগ্রহ করেন। আর সুযোগে মোবাইলে টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে-দাবি করে লঞ্চ ছাড়ার আগ মুহূর্তে ছড়া দামে বিক্রি করে কয়েকটি কোম্পানি। তবে গত কয়েকবছর ঘরে এ রুটে চলাচলকারীদের টিকিট কালোবাজারির সংখ্যা অনেকটা কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সদরঘাট টার্নিমালে মেসার্স পদ্মা ওয়াটার ওয়েজের কাউন্টারে দায়িত্বরত মিন্টু জাগো নিউজকে বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৬টি টিকিট বিক্রি করেছি। তবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অধিকাংশ যাত্রী টিকিট কিনেছেন। তাই যানজটসহ অন্যান্য কারণে অনেকেই কাউন্টারে আসেন না।

মেসার্স জাহিদ শিপিং লাইনসের একটি কাউন্টারও খোলা রয়েছে সদরঘাটে। কাউন্টার মাস্টার জানান, দ্বিতীয় দিনে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৮টি টিকিট বিক্রি হয়েছে।

এ জাতীয় আরও খবর