বুধবার, ৫ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২১শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

এই আলিয়া ভাট, সেই আলিয়া ভাট

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ২, ২০১৭

---

বিনোদন ডেস্ক : ব্রিটিশ পরিবারে জন্মগ্রহণ করা আলিয়া, চলচ্চিত্রনির্মাতা মহেষ ভাট এবং অভিনেত্রী সোনি রাজদানের কন্যা। ১৯৯৯ সালে তানুজা চন্দ্র পরিচালিত সংঘর্ষ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে।

পরবর্তীকালে একজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও বরুণ ধবনের বিপরীতে করন জোহর পরিচালিত রোমান্টিক কমেডি স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার (২০১২) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন; যা সে বছরের বক্স অফিস সাফল্য অর্জন করে।

তার আকর্ষণীয় ফিগার, মিষ্টি হাসি দিয়ে সবার নজর কাড়েন প্রথম ছবিতে। কিন্তু আপনি জানেন কী এই অভিনেত্রী একজন বেশি ওজনের তরুণী ছিলেন।

১৭ বছর বয়সে ৬৭ কেজি ওজন ছিল আলিয়ার! তিন মাসে আলিয়া ওজন কমিয়ে ৫১ কেজিতে নিয়ে আসেন। এত কম সময়ে তিনি ওজন কমিয়ে ফেলেন ১৬ কেজি! কীভাবে? তার সেই জাদুকরী ডায়েট চার্টটি দেখে নিন এক নজরে।

ডায়েট:  

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাবার নিয়ন্ত্রণ করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আলিয়া ভাটের ডায়েট লিস্টটি দেখুন তাহলে।

সকালের নাস্তা:

ব্রেড টোস্ট অথবা কর্ণফ্লেক্স, ফল, এক বাটি চিড়া অথবা সবজি অথবা একটি ডিমের সাদা অংশ দিয়ে তৈরি স্যান্ডউইচ। এরসাথে চিনি ছাড়া এক কাপ চা অথবা কফি।

মধ্য সকাল:

এক গ্লাস ভেজিটেবিল জুস, এর সাথে ফল অথবা ইডলি (ভাপা পিঠার মত একটি খাবার) সাথে এক বোল সাম্বার।

দুপুরের খাবার:

ডাল, রুটি এবং কিছু সবজি। সবকিছু অল্প তেলে অল্প রান্না করা।

বিকেলের নাস্তা:

ফল এবং এক কাপ চিনি ছাড়া চা অথবা কফি।

রাতের খাবার:

রুটি, সবজি অথবা ভাত, ডাল এবং এক টুকরো মুরগির বুকের মাংস। অব্যশই কম তেলে হালকাভাবে রান্না করা।

আলিয়া লো-কার্ব, হাই প্রোটিন ডায়েট প্ল্যান মেনে চলেন। যেকোনো জাঙ্ক ফুড, তৈলাক্ত খাবার, চিনি এড়িয়ে চলেন। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করেন। আলিয়ার অন্যতম ডিটক্স হলো লেবু পানি। লেবুর পানির সাথে কিছুটা জাফরান মিশিয়ে নিয়মিত পান করেন।

অন্যান্য অভিনেত্রীদের মতো আলিয়া ভাট একটি দিন ‘চিট ডে’ হিসেবে পালন করেন। সেদিন তিনি তার পছন্দমত খাবার খেয়ে থাকেন। তা হতে পারে নুডুলস, চটপটি অথবা আলু ভাজি যা তার মা তৈরি করেন।

ব্যায়াম:

ব্যায়াম ছাড়া পারফেক্ট ফিগার পাওয়া বেশ কঠিন। আলিয়া ভাট প্রতিদিন জিমে যাওয়ার পরিবর্তে সপ্তাহে ৩-৪ দিন জিম যাওয়া পছন্দ করেন। জিমের তুলনায় তিনি কার্ডিও এক্সারসাইজ এবং ইয়োগা বেশি পছন্দ করেন।

প্রথম দিন:

ট্রেডমিল- ওয়ার্মআপ ৫ মিনিট

ট্রেডমিল- রানিং প্রতি ১০ মিনিট পর পর পুনরাবৃত্তি

পুশ আপস- ৩ সেটস * ১০-১২ বার পুনরাবৃত্তি

লেট পুল ডাউন্স- ৩ সেট * ১৫ বার পুনরাবৃত্তি

বাইক্যাপ কিউরলস- ৩ সেট * ১৫-২০ বার পুনরাবৃত্তি

দ্বিতীয় দিন: বিশ্রাম

তৃতীয় দিন:

ট্রেডমিল- ওয়ার্মআপ ৫ মিনিট

ক্রাঞ্চেস- ৩ সেটস * ১৫-২০

ব্যাল এক্সটেনশন্স- ৩ সেটস * ১৫ বার পুনরাবৃত্তি

বাইসাইকেল ক্রাঞ্চেস- ৩ সেটস * ২০-২৫ বার পুনরাবৃত্তি

রিভার্স ক্রাঞ্চেস- ৩ সেটস * ১৫ বার পুনরাবৃত্তি

চতুর্থ দিন: বিশ্রাম

পঞ্চম দিন:

ট্রেডমিল- ওয়ার্মআপ ৫ মিনিট

স্কুয়াটস: ৩ সেটস * ২০-২৫ বার পুনরাবৃত্তি

ফরওয়ার্ড লাঞ্জ- ৩ সেটস * ২০-২৫ বার পুনরাবৃত্তি

ডাম্ববেল লাঞ্জ- ৩ সেটস * ১৫ বার পুনরাবৃত্তি

ব্যাকওয়ার্ড লান্স- ৩ সেটস * ২০-২৫ বার পুনরাবৃত্তি

ট্রেডমিল- রানিং ১০ মিনিট

ষষ্ট দিন: বিশ্রাম

এর পাশাপাশি আলিয়া নিয়মিত ইয়োগা চর্চা করেন। সপ্তাহে দুইবার অষ্টাঙ্গ যোগব্যায়াম তিনি করে থাকেন। এছাড়া নাচ তো আছেই তার ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য।

এ জাতীয় আরও খবর