ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চুরি করতেই চালক খুন

---
নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সেন্দ গ্রাম থেকে গত শনিবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
নিহত হৃদয় মিয়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চানপুর গ্রামের আব্দুর রবাইয়ের ছেলে। অটোরিকশা চালক হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার রামধনগর গ্রামের বিপ্লব চৌধুরীর বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। গত শুক্রবার রাত থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন।
পুলিশের হাতে আটকরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সফিক মিয়া ও ভাটপাড়ার ইউসুফ আহম্মেদ। পুলিশের অভিযানে হৃদয়ের অটোরিকশা ও এর মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সদর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেন্দ গ্রামের জমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে গত শনিবার সকালে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জিলানী। দুপুরের দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী হাসপাতাল মর্গে এসে পরিচয় নিশ্চিত করে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট মোড়ের আমির হামজা ট্রেডার্সে অভিযান চালায়। অটোরিকশার পাঁচটি ব্যাটারি ও দুটি সিট উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় প্রতিষ্ঠানের মালিক সফিক মিয়াকে। উদ্ধারকৃত ব্যাটারি ও সিট হৃদয়ের অটোরিকশার বলে পুলিশের ধারণা। সফিককে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ভাটপাড়ার ইউসুফ আহমেদকে আটক করে। ইউসুফের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকার শরীফ মিয়ার বাড়ি থেকে হৃদয়ের অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. নবীর হোসেন বলেন, ‘পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন হৃদয় অটোরিকশা নিয়ে গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিতে চালককে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরো কারা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে। ’