‘সকল নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ অঙ্গীকারাবদ্ধ’
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি নাগরিককে সমানভাবে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ অঙ্গীকারাবদ্ধ। সে লক্ষ্যে জীবনবাজি রেখে নিরলসভাবে কাজ করছে সকল পুলিশ সদস্য।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক পূর্ব বিভাগ ও সায়েদাবাদ টার্মিনাল মালিক ও শ্রমিক কমিটি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ঈদের সময় লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করে। পুলিশ, শ্রমিক-মালিক ও সিটি করপোরেশনের সহায়তায় কোনো রকম বিড়ম্বনা ছাড়াই এবারের ঈদেও ঘরমুখী মানুষেরা বাড়ি যাবে। ইতিমধ্যে নগরীর টার্মিনাল কেন্দ্রিক ব্যাপক নিরাপত্তা নিয়েছি আমরা।
গাড়ির মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করবেন না। টার্মিনাল হতে যাত্রী নিয়ে সোজা গন্তব্যে ছেড়ে যাবেন। গাড়িতে যাত্রী নেয়ার জন্য যদি কেউ যাত্রীদের টানাটানি করে এবং জননিরাপত্তার বিঘ্নতা সৃষ্টি করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো অবস্থায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করা যাবে না। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে থাকবে মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং টিম।
কমিশনার আরো বলেন, কোনো টার্মিনালে আমরা এখনো চাঁদাবাজি, টিকিট কালোবাজারির সংবাদ পাইনি। যদি কেউ চাঁদাবাজি ও টিকিট কালোবাজারি করে তাকে এতটুকু ছাড় দেয়া হবে না। গত দুই মাসে ১০০ জনের মতো অজ্ঞান ও মলম পার্টির সদস্য গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা ও থানা পুলিশ অজ্ঞান ও মলম পার্টিদের ধরতে কাজ করে যাচ্ছে।
যদি কেউ বড় অংকের টাকা বহন করতে চান তাহলে পুলিশের মানি এস্কর্ট নিয়ে ঢাকা শহরের যেকোনো জায়গায় টাকা বহন করে নিয়ে যেতে পারেন। মানি এস্কর্ট ছাড়া বড় অংকের টাকা বহন না করাই ভালো। ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ রেখে সকলের প্রতি এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা।