বুধবার, ১৪ই জুন, ২০১৭ ইং ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

দুই তরুণী ধর্ষণ : বিচারের জন্য মামলা ট্রাইব্যুনালে

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ১১, ২০১৭
news-image

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : বনানীর আলোচিত ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এখন মামলাটির বিচারকাজ পরিচালনা হবে ঢাকার ২নং নারী ও শিশু নির্যাতদন দমন ট্রাইব্যুনালে।

রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম হাফিজুর রহমান মামলাটি ঢাকার ২নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী মামলাটি নথি ওই ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল মামলার নথি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেয়েছেন বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার নাজমুল।

বনানী থানার আদালতের জিআরও (সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা) আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, বিচারকের আদেশে মামলাটি ঢাকার ২নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম দোলোয়ার হোসেনের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৪৭ জনকে।

অভিযুক্ত পাঁচজন হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।

গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে এসে বন্ধুদের যোগসাজশে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী।

ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় তারা বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

বনানী থানা পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ করেন তরুণীদের একজন। এরপর আসামি ধরতেও পুলিশের অনীহার অভিযোগের মুখে মামলার তদন্তভার পুলিশের উইমেন ভিকটিম সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেনশনকে দেয়া হয়।

তবে গ্রেফতারের পর আসামিরা সবাই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

বনানীতে আবাসিক এলাকায় কে ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর বাড়িতে রেইনট্রি হোটেলের মালিকানায় আছে আওয়ামী লীগের সাংসদ বিএইচ হারুনের পরিবার।

হোটেলের পরিচালনা পর্ষদে থাকা চার তার ছেলের মধ্যে এইচ এম আদনান হারুন আছেন ওই হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে। তবে দেখাশোনা করেন তার ভাই মাহির হারুন।

মাহিরের বন্ধু পরিচয় দিয়েই সাফাত ধর্ষণের ঘটনার দিন ওই হোটেলে উঠেছিলেন বলে হোটেলকর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন।

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন বলেন, ৪০ দিন আগে ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রী বিপর্যস্ত ছিলেন। মামলা করলে কিংবা আইনের আশ্রয় নিলে ও পুলিশ- র‌্যাবকে জানালে তাদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। যে কারণে তারা মামলা করতে সাহস পাননি বলে জানিয়েছেন।

এ জাতীয় আরও খবর