যে দশটি কারণে শহরের মেয়েরা গ্রামের মেয়েদের থেকে বেশী মোটা হয়
---
লাইফস্টাইল ডেস্ক :ওবেসিটি বা বাড়তি ওজন দুনিয়াব্যাপী একটি স্বাস্থ্যঝুঁকিগত সমস্যা। বেশি ওজন মানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখ, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়া। বাড়তি ওজন মানে অকালে মৃত্যুবরণ করা। সম্প্রতি কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শহরের মেয়েরা গ্রামের মেয়েদের তুলনায় বেশি মোটা হয়। মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে শহরের জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশদূষণ ও জিনগত কারণ দায়ী।
শহরের মেয়েরা মোটা হয় কেন?
১. শহরের মেয়েরা সকালের ব্রেকফাস্ট নিয়মিত করে না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সকালের ব্রেকফাস্ট না খেলে মোটা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
২. সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শহরের মেয়েরা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খায়। আর এটি মোটা হওয়ার এটি সবচেয়ে বড় কারণ।
৩. জার্নাল অব নার্সিং অ্যান্ড হেলথের তথ্যমতে, শহুরে মেয়েরা শারীরিক পরিশ্রম কম করে। এতে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বাড়ে।
৪. ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে অব ইন্ডিয়ায় দেখা গিয়েছে, শহরের মেয়েরা জল কম খেয়ে সফট ড্রিঙ্ক জাতীয় বেশি জল খেয়ে আরও বেশী মোটা হয়ে যায়।
৫. জার্নাল অব মেডিকেল নিউট্রিশন গবেষণায় বলা হয়েছে, শহর এলাকার মেয়েরা টিভি, ল্যাপটপ, ফোনে সময় বেশি দেয়। শহরের মেয়েরা গাড়ির ব্যবহার বেশি করে, কম হাঁটে। এটি তাদের স্থূল করে তোলে।
৬.শহুরে মেয়েরা মাছ কম, মাংস বেশি খায়। এতে ওজন বেড়ে যায়।
৭. ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব পাবলিক হেলথের মতে, শহরে বিভিন্ন খাদ্য, পানীয়ের সহজলভ্যতার জন্য মেয়েরা চকলেট, চিপস, আইসক্রিম বেশি খায়। এই অভ্যাস তাদের মোটা করে দেয়।
৮. পারিবারিক স্বাস্থ্যগত অসচেতনতার কারণেও শহরের মেয়েরা বেশি মোটা হয়। পরিবার থেকে পড়াশোনার জন্য যতটা চাপ দেওয়া হয়, স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য অতটা মনোযোগ দেওয়া হয় না।
৯. শহরের মেয়েরা রাতের খাবার দেরি করে খায়। সাইকোলজি টুডের গবেষণায় দেখা যায়, রাতের খাবার দেরি করে খেলে মোটা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া শহরের মেয়েরা রাত জাগে, ঘুমায় কম। এটিও তাদের মোটা হওয়ার জন্য দায়ী।
১০. হরমোনের সমস্যাও মোটা হওয়ার একটি বড় কারণ। শহরের দূষিত পরিবেশ ও জিনগত কারণ অনেকাংশে মেয়েদের মোটা হওয়ার জন্য দায়ী—এটাও উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়।