কোমিকে মিথ্যাবাদী বললেন ট্রাম্প
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :এফবিআইয়ের সাবেক প্রধান জেমস কোমিকে মিথ্যাবাদী বললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে বললেন, কোমির অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। প্রয়োজনে তিনি মার্কিন কংগ্রেসের নামে একশো শতাংশ শপথ করেই এ কথা বলতে পারেন, যে গতবছর নির্বাচনে জেতার জন্য তিনি কখনওই রাশিয়ার সাহায্য চাননি। তবে কোমির সঙ্গে নিজের একক কথাবার্তার তথ্যপ্রমাণ সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, যথাসময়ে সেই সত্য প্রকাশ পাবে।
বৃহস্পতিবার কোমি অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প নির্বাচন জিততে রাশিয়ার সাহায্য নিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে তিনি তদন্ত শুরু করার পর প্রথমে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন ট্রাম্প। এমনকী মাইকেল ফ্লিনের ব্যাপারে তদন্ত বন্ধের কথাও বলেন কোমিকে। কিন্তু কোমি তদন্ত চালিয়ে যাওয়ায় তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।
কোমির এই অভিযোগের জবাবে নিজের আইনজীবীদের পরামর্শে সেদিনই মুখ খোলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে প্রথমে টুইটারে বলেন কোমি মিথ্যা বলছেন। এরপর স্থানীয় সময় বিকেলে হোয়াইটহাউসের গোলাপবাগানে সাংবাদিক বৈঠকে ফের একই কথা বলেন। ফ্লিন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি কখনওই তদন্ত বন্ধের কথা বলেননি।
কোমি বাজে কথা বলছেন। তাকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তাহলে কোমি কি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তখন ট্রাম্প বলেন, তিনি কখনওই এ কথা বলেননি। এ ব্যাপারে তিনি খবরের কাগজে পড়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, কোমি একজন লিকার যিনি সরকারি তথ্য সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করে দিয়েছেন। তবে কোমির ক্ষেত্রে এই অভিযোগ কিছুটা ভিন্ন কারণ, ওই সরকারি তথ্য এখনও বিবেচিত হয়নি। কোমি আরও অভিযোগ করেছিলেন, জানুয়ারিতে ট্রাম্প তাঁকে প্রেসিডেন্টের প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশের জন্য বাধ্য করেছিলেন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি কোমিকে তখন ভাল করে চিনতেনই না। তাহলে তাঁকে কী করে এ কথা বলতে পারেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, নির্বাচনে রুশ যোগ নিয়ে তদন্তকারী অফিসার রবার্ট মুলারের সঙ্গে তিনি কথা বলতে চান। সাংবাদিকদের সামনে যে সত্যি কথা তিনি বলেছেন, সেটাই তিনি বলতে চান মুলারকে। অন্য দিকে, শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভের তদন্তকারী কমিটি কোমির কাছে তাঁর এবং ট্রাম্পের কথোপকথনের যাবতীয় নথি চেয়েছে।
হোয়াইট হাউসের কাছেও এ ব্যাপারে রেকর্ডিং এবং তথ্য প্রমাণ চেয়ে পাঠিয়েছে কমিটি। কোমির যে কোনও একটি তথ্যও যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তাহলে সরকারি তদন্তকারীদের মিথ্যা বলার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে।