সোমবার, ১৯শে জুন, ২০১৭ ইং ৫ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর দাবি, র‍্যাবের সোর্স ছিলেন শরিফ!

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ৩, ২০১৭

---

নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল এলাকায় যার তথ্য অনুযায়ী পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে, সেই শরিফ খান র‍্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী ফাহিমা বেগম। শুক্রবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন। পূর্বাচলের ব্লু সিটি হাউজিং ও ৫ নম্বর সেক্টরের যে কৃত্রিম লেক থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান থেকে ৮-১০ কিলোমিটার উত্তরে নারায়ণগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের বাগলা গ্রামে শরিফ খানের বাড়ি। তিনি দুই দফায় বেশ কয়েক বছর বিদেশে ছিলেন।

শরিফের স্ত্রী ফাহিমা বেগম বলেন, গত ২৯ মে রূপগঞ্জ থানার একটি মাদক মামলায় হাজিরা দিতে সকাল সাতটার দিকে শরিফ বাড়ি থেকে বের হন। আদালতে হাজিরা দিতে গেলে শরিফের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁদের বাড়িতে পুলিশ আসে। তিনি তখন রান্না করছিলেন। দুজন সাদাপোশাকের পুলিশ প্রথমে আসে। এসে তাঁকে বলে, তাঁদের ঘরে মাদক আছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য আছে। তাই তারা ঘর তল্লাশি করতে চায়।

এরপর তাঁকে রান্না ঘর থেকে বের করে দেন। তিনি বের হওয়ার এক থেকে দেড় মিনিট পর তাঁকে ডাক দিয়ে পুলিশ জানায়, রান্না ঘরের চালের ড্রামের পাশ থেকে বড় একটা অস্ত্র পাওয়া গেছে। ফাহিমা বেগম আরও জানান, শরিফ ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। ২০০৬ সালে দেশে ফেরেন। তারপর তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের আট মাস পর তিনি আবার দুবাই চলে যান। সেখানে দুই বছর থেকে ফিরে আসেন। দুবাই থেকে ফেরার পর শরিফ র‍্যাব-১১-এর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। দুই বছর ধরে তিনি ওই কাজে জড়িত ছিলেন। পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজ ছেড়ে দেন।

শরিফ ইয়াবার ব্যবসা করতেন বলে স্বীকার করেছেন তাঁর স্ত্রী ফাহিমা। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শরিফ জমি কেনাবেচার ব্যবসায় ধরা খেয়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তবে অস্ত্র রাখার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, শরিফ এটা রাখেননি। কেউ শত্রুতা করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কালের কণ্ঠ অনলাইন

এ জাতীয় আরও খবর